নিজস্ব প্রতিবেদন:   একজন প্রাক্তন হেড স্যার। তিনিই নাটের গুরু।বাকি দুই শাগরেদ। একজন প্রাইমারি স্কুল শিক্ষক। আরেকজন ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার। তিনজন মিলে ওয়েবসাইটে  চাকরির নামে লোক ঠকানোর ব্যবসা খুলে বসেছিলেন। হাতেনাতে ধরা পড়ে গেলেন বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিসের হাতে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: বনধ রুখতে বিশাল বন্দোবস্ত রাজ্যের! বুধবার রাস্তায় বেরোলেই মিলবে বিশেষ পুরস্কার


মুসারফ আলি,  আগে ছাত্র পড়াতেন। অবসর নেওয়ার পর খুলে বসেন চাকরির নামে লোক ঠকানোর ব্যবসা। তার জন্য প্রফেশনাল কায়দায় চালু করেন ভুয়ো ওয়েবসাইটও। বারুইপুরের বাসিন্দা মুসারফ  টার্গেট করতেন প্রাইমারি স্কুল ও অন্যান্য সরকারি দফতর চাকরিপ্রার্থীদের। বেশকয়েকজনের কাছ থেকে কয়েকলক্ষ টাকা হাতিয়েও নেয় মুসারফ। ২১ তারিখ বিকাশ ভবনে একজনের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার সময়ে হাতেনাতে ধরা পড়ে যায়।


আরও পড়ুন: স্বামী, সন্তানকে নিয়ে সুখের সংসার, স্বামী ভালোবাসত তার নিজের বোনকেও! তাতেই সংসারে ধরল ঘুন


মুসারফকে জেরা করে খোঁজ মেলে তার দুই শাগরেদ রামানন্দ চৌধুরী ও রমেন সিনহার। সোমবার রাতে মুসারফকে সঙ্গে নিয়ে গড়িয়ায় লাগাতার তল্লাসি চালায় পুলিস। নিউ গড়িয়ার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয় প্রাইমারি স্কুল শিক্ষক রামানন্দকে, ধরা পড়েন ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার রমেন সিনহা।  দুজনের বাড়ি তল্লাসিতে শিক্ষক পদে ভুয়ো নিয়োগপত্র, অসংখ্য বায়োডাটা, বিভিন্ন স্কুলের ভুয়ো স্ট্যাম্প, ৭টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের নথি ও ৯১,৪০০ টাকা উদ্ধার হয়। রমেন সিনহার বাড়ি থেকে ৩টি ভুয়ো ওয়েবসাইটের নথি, প্রচুর এটিএম ও প্যান কার্ড উদ্ধার হয়েছে।


আরও পড়ুন: ফের ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল রাজ্য, জানুন কোথায় কী ক্ষয়ক্ষতি!


বিধাননগর সাইবার থানার পুলিসের দাবি, পেশায় ডিপ্লোমা  ইঞ্জিনিয়ার রমেনই ভুয়ো ওয়েবসাইটের মাধ্যমে চাকরিপ্রার্থীদের নিশানা করত। টাকা হাতিয়ে নেওয়ার পর চম্পট দিত তিনজনেই। যখন প্রতারক বুঝতে পারতেন ততদিনে পাখি ফুড়ুত। এভাবে বেশকয়েকজন যুবককে ঠকিয়েছে তিনজনের এই চক্র।