`আরোগ্য সেতু অ্যাপের মাধ্যমে কেন্দ্র করোনা ছাড়া অন্য তথ্যও চুরি করছে, নজরদারি চালাচ্ছে`
`এখনও পর্যন্ত এমন কোনও আইন সংসদে পাস হয়নি যার মাধ্যমে এই অ্যাপকে বাধ্যবাধ্যকতামূলক করা যায়। বরং এমন সিদ্ধান্ত ইনফরমেশন টেকনোলজি অ্যাক্ট, ২০০০-এর নিয়ম ও নির্দেশিকার পরিপন্থী।`
নিজস্ব প্রতিবেদন : করোনা নিয়ে তৃণমূল-বিজেপি, দুই শিবিরে দড়ি টানাটানি চলছেই। মঙ্গলবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভারতে আগমন, ৩০ জানুয়ারির পরেও বিমান চলাচল নিষিদ্ধ না করা, ত্রুটিপূর্ণ টেস্ট কিট প্রভৃতি অভিযোগে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছিলেন তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীরা। আজ আরোগ্য সেতু অ্যাপ নিয়ে কেন্দ্রকে নিশানা করল তৃণমূল।
আরোগ্য সেতু অ্যাপের মাধ্যমে নজরদারি চালাচ্ছে কেন্দ্র। নজরদারি চালানোর জন্যই সবাইকে এই আরোগ্য় সেতু অ্যাপ ডাউনলোড করতে বাধ্য করা হচ্ছে। এই মর্মে এদিন তোপ দাগল তৃণমূলের ডিজিটাল আর্মি। কাকলি ঘোষ দস্তিদার, অর্পিতা ঘোষ, মহম্মদ গুলাম রব্বানি সহ একাধিক তৃণমূল নেতা-নেত্রী সরব হয়েছেন এই আরোগ্য সেতু অ্যাপ বাধ্যবাধ্যকতামূলকভাবে ডাউনলোডে।
তৃণমূলের তরফে দাবি করা হয়েছে, যাঁরা এই আরোগ্য সেতু অ্যাপ ব্যবহার করছেন, তাঁদের তথ্য সুরক্ষা বিঘ্নিত হতে পারে। তাঁদের ব্যক্তিগত তথ্য চুরি যেতে পারে। আরোগ্য সেতুর মাধ্যমে কেন্দ্রীয় সরকার হটস্পট এলাকায় করোনা আক্রান্ত রোগীদের গতিবিধি ট্র্যাক করার কথা বললেও, এই অ্যাপের মাধ্যমে আরও অনেক ডেটা সংগ্রহ করা হচ্ছে। এই অ্যাপ চালানোর জন্য সারাক্ষণ ব্লটুথ ও জিপিএস চালিয়ে রাখতে হচ্ছে। অনেকেই এরমধ্যে অস্বচ্ছতা লক্ষ্য করেছেন।
এই প্রসঙ্গে তৃণমূলের তরফে দেশের অন্যতম সাইবার বিশেষজ্ঞ পবন দুগ্গলের বক্তব্যকে তুলে ধরা হয়েছে। উল্লেখ্য এক সাক্ষাৎকারে পবন দুগ্গল বলেন, "আরোগ্য সেতু অ্যাপের মাধ্যমে করোনা আক্রান্ত রোগীদের গতিবিধি ট্র্যাক করা, তাঁদের খুঁজে বের করা, সরকারের এই উদ্দেশ্য মহৎ হলেও, এখনও পর্যন্ত এমন কোনও আইন সংসদে পাস হয়নি যার মাধ্যমে এই অ্যাপকে বাধ্যবাধ্যকতামূলক করা যায়। বরং এমন সিদ্ধান্ত ইনফরমেশন টেকনোলজি অ্যাক্ট, ২০০০-এর নিয়ম ও নির্দেশিকার পরিপন্থী। তাকে লঙ্ঘন করে।"
যদিও, আরোগ্য সেতু অ্যাপের মাধ্যমে তথ্য ফাঁস হওয়ার আশঙ্কাকে উড়িয়ে দিয়েছে কেন্দ্র। আরোগ্য সেতু অ্যাপে তথ্য ফাঁস হওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই। বুধবার সকালে এক বিবৃতি জারি করে এমনটাই জানায় কেন্দ্র। কেন্দ্রের জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, অত্যন্ত সুরক্ষিত পদ্ধতিতে এনক্রিপটেড সার্ভারে সংরক্ষিত থাকে ব্যবহারকারীদের তথ্য। তাই ব্যবহারকারীদের লোকেশনের তথ্য প্রকাশ্যে এসে যাওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই।
আরও পড়ুন, '৩০ জানুয়ারি প্রথম করোনা টেস্ট, তারপরেও বিমান বন্ধ হল না!' কেন্দ্রকে কড়া আক্রমণ তৃণমূলের