নিজস্ব প্রতিবেদন: 'এই ঘটনা নিন্দনীয় ও লজ্জানক। সমগ্র জাতির মাথা হেঁট করে দিয়েছে।'  প্রতিক্রিয়া পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee)। অধীর চৌধুরীর (Adhir Chowdhuri) মতে, 'পরিকল্পিত অপমান। বাংলার সংস্কৃতির সঙ্গে খাপ খায় না।' ভোটের মুখে সবপক্ষকে 'মিলিয়ে দিলেন' নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু (Netaji Subhas Chandra Bose)! ভিক্টোরিয়ার অনুষ্ঠানে 'জয় শ্রীরাম' ধ্বনি ইস্যুতে এক সুর শাসক ও বিরোধীদের গলায়। পাল্টা টুইটে মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) নিশানা করলেন বাংলায় বিজেপির সহকারী পর্যবেক্ষক অমিত মালব্য (Amita Malviya)। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

'Morning shows the day।' নেতাজির জন্মজয়ন্তী পালন অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে এই প্রবাদবাক্য খাটল না। ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে (Victorial Memorial) নেতাজি জন্মজয়ন্তী অনুষ্ঠান শুরুর প্রারম্ভে 'একফ্রেমে মোদী-মমতা'। সৌহার্দ্যের সেই ছবি স্থায়ী হল না বেশিক্ষণ, তাল কাটল অচিরেই। কেন? এদিন নেতাজির জন্মজয়ন্তীকে উপলক্ষ্যে এক বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় ভিক্টোরিয়ায়। মঞ্চে পাশাপাশি বসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi), মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান প্রথমে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় সংস্কৃতিমন্ত্রী প্রহ্লাদ পাটেল। এরপর যখন মুখ্যমন্ত্রীকে বক্তব্য রাখার মঞ্চে আহ্বান জানান সঞ্চালক জুটি, তখনই ঘটে ছন্দপতন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলতে উঠতেই দর্শকাসন থেকে 'জয় শ্রীরাম' ধ্বনি ওঠে। 'অপমানিত' মুখ্যমন্ত্রী বক্তব্য না রেখেই পোডিয়ামে ছাড়েন। ফের গিয়ে বসে পড়েন নিজের আসনে।


 



এই ঘটনাকে কী চোখে দেখছে রাজনৈতিক মহল? বিজেপির কড়া সমালোচনা করেছেন তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। তাঁর প্রতিক্রিয়া, 'বাংলার সংস্কৃতির গরিমা ও ঐতিহ্যকে ওরা কালিমালিপ্ত করল। সরকারি অনুষ্ঠানে, নেতাজির জন্মদিন পালনে নেতাজির নামে জয়ধ্বনি না দিয়ে রাজনৈতিক জয়ধ্বনি দেওয়ার যে দৃশ্য় আমরা দেখলাম, তা স্মরণাতীত কালে ঘটেছে বলে মনে পড়ছে না।' ঘটনাটির ভিডিও-সহ তৃণমূল সাংসদ জেরেক ওব্রায়েনের (Derek O'Brien) টুইট, 'শালীনতা কাউকে শেখানো যায় না।' 


 



 


রাজনৈতিক বিরোধিতাতে দূরে সরিয়ে রেখে মুখ্যমন্ত্রীর পাশে দাঁড়িয়েছে বিরোধীরাও। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী (Adhir Chowdhuri) ফোনে Zee ২৪ ঘণ্টাকে বললেন, 'মুখ্যমন্ত্রী, সর্বোপরি একজন মহিলাকে মঞ্চে বসিয়ে রেখে নরেন্দ্র মোদীর সামনে জয় শ্রীরাম ধ্বনি দিয়ে অপমান করে বাংলার সংস্কৃতিকে আঘাত করা হল।  মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে রাজনৈতিক বিরোধিতা আছে, থাকবে। কিন্তু এটা পরিকল্পিত অপমান। বাংলার সংস্কৃতির সঙ্গে খাপ খায় না।' 


ভিক্টোরিয়ায় 'জয় শ্রীরাম' ইস্যুতে যখন একই মেরুতে এ রাজ্যের শাসক ও বিরোধীরা, তখন পাল্টা টুইট করেছেন বাংলায় বিজেপির সহকারী পর্যবেক্ষক অমিত মালব্য (Amit Malviya)। তিনি লিখেছেন, 'বিশ্বভারতীর শতবার্ষিকী অনুষ্ঠানে যোগ না দিয়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে অপমান করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নেতাজির জন্মজয়ন্তীতে ভাষণ না দিয়েও সেই একই কাজ করলেন।'


 



 


উল্লেখ্য, এদিনের অনুষ্ঠানে 'জয় শ্রী রাম' স্লোগানে ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী মঞ্চেই সরাসরি তোপ দাগেন। বলেন, "সরকারি অনুষ্ঠানের ডিগনিটি থাকা উচিত। এটা কোনও রাজনৈতিক অনুষ্ঠান নয়। আমাকে আমন্ত্রণ করায় প্রধানমন্ত্রী ও সংস্কৃতিমন্ত্রীর কাছে কৃতজ্ঞ। কিন্তু কাউকে আমন্ত্রণ করে, তারপর অপমান করা উচিত নয়। তাই প্রতিবাদ স্বরূপ আমি কিছু বলছি না।" এরপর নিজের আসনে চলে যান তিনি