জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: অনুব্রত মণ্ডলকে ভর্তির কোনও প্রয়োজন নেই। সাফ জানাল এসএসকেএম হাসপাতাল (SSKM Hospital) কর্তৃপক্ষ। সিবিআই-এর ডাক এড়িয়ে সোমবার সকালে সোজা এসএসকেএম হাসপাতালের (SSKM Hospital) উডবার্ন ওয়ার্ডে পৌঁছে যান অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। গরুপাচার মামলায় (Cattle/Cow Smuggling Case) জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি না হয়ে চিকিৎসকদের পরামর্শ নিতে যান তিনি। সোমবার বেলা ১২টা ২৫ মিনিট নাগাদ এসএসকেএম হাসপাতালে যান বীরভূম জেলা তৃণমূলের সভাপতি। হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, তাঁর জন্য উডবার্নের ২১৬ নম্বর কেবিন বরাদ্দ করা হয়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

তাঁর পরীক্ষা করেন সাতজন চিকিৎসক। সেই টিমে ছিলেন মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসক সৌমিত্র ঘোষ, সার্জারি বিভাগের চিকিৎসক দীপ্তেন্দ্র সরকার, কার্ডিও বিভাগের চিকিৎসক সরোজ মণ্ডল, চেস্ট বিভাগের চিকিৎসক সোমনাথ কুণ্ডু, ইউরোলজি বিভাগের চিকিৎসক দিলীপ পাল, এন্ডোক্রিনোলজি বিভাগের চিকিৎসক শুভঙ্কর চৌধুরি এবং ফিজিক্যাল মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসক রাজেশ প্রামাণিক। স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর চিকিৎসকরা সিদ্ধান্ত নেন 'কেষ্ট'কে ভর্তি করার কোনও প্রয়োজন নেই। তবে তাঁর শরীরের অবস্থা এখন ঠিক কেমন, সেই বিষয়ে মুখ খুলতে চাননি চিকিৎসকদের কেউই। সোমবারের মধ্যে তাঁকে সিবিআই-এর কাজে হাজিরা দেওয়ার কথা রয়েছে। হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে অনুব্রত কোথায় যাবেন? সেদিকেই এখন তাকিয়ে ওয়াকিবহাল মহল। 


শারীরিক অসুস্থতার কথা আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন বীরভূম জেলা তৃণমূলের সভাপতি। সোমবার যে তিনি যেতে পারবেন না, তাও জানিয়েছিলেন 'কেষ্ট'। সিবিআই সূত্রে খবর, অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) আবেদন খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পরবর্তী কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে, তা এখনও জানা যায়নি। এর আগে পাঁচবার অনুব্রত মণ্ডলকে নোটিস দিয়েছিল সিবিআই। কারণটা গোরুপাচার কাণ্ড। পঞ্চম নোটিসের পর কলকাতায় যান কেষ্ট। সিবিআই দফতর নয়, বরং এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি হয়ে যান তিনি। এরপর যেদিন তিনি হাসপাতাল থেকে বের হন, সঙ্গে সঙ্গে ষষ্ঠ নোটিস পাঠায় সিবিআই।


তখন হাজিরা দেন অনুব্রত মণ্ডল। চার ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সূত্রের খবর, জিজ্ঞাসাবাদ পুরোপুরি হয়নি। সেজন্য়ই নাকি বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতিকে যে ফের ডাকা হয়। এছাড়া অনুব্রতর নিরাপত্তারক্ষী সায়গল হোসেনকেও গ্রেফতার করেছে সিবিআই। তার বিপুল সম্পত্তির খোঁজ মিলেছে। গোরু পাচারকাণ্ড-সব কয়লা পাচারেও তার নাম রয়েছে। সম্প্রতি সায়গল-ঘনিষ্ঠ টুলু মণ্ডলের বাড়িতে তল্লাশিতে যায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। 


সূত্রের খবর, তার বিপুল সংখ্যক জমির দলিল, কিছু দামী গাড়ির কাগজপত্র, ৪০টির বেশি ডাম্পারের নথি, বেশকিছু একাউন্টের ডিটেল, টাকা লেনদেনের কিছু নথি ও বেশকিছু নগদ টাকার হদিশ মিলেছে। বীরভূমের সিউড়িতে টুলু মণ্ডলের মোট ৩টি বাড়ি রয়েছে। মহম্মদবাজারে পেট্রোল পাম্পের মালিক টুলু মণ্ডল। সমস্ত এলাকায় হানা দেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা। সঙ্গে ছিল বিশাল বাহিনী। তালা ভেঙে টুলু মণ্ডলের বাড়িতে ঢোকেন তদন্তকারীরা। সূত্রের খবর, তল্লাশিতে তার সুভাষপল্লির বাড়ি থেকে বেশ কিছু নথি উদ্ধার হয়। সেগুলি বাজেয়াপ্ত করেছেন আধিকারিকরা। একই সঙ্গে সিল করে দেওয়া হয়েছে টুলু মণ্ডলের তিনটি পেট্রোল পাম্প।