TMC: নজরে পঞ্চায়েত ভোট, নন্দীগ্রামে সংগঠন ঢেলে সাজাল তৃণমূল
ব্যবধান সপ্তাহ খানেকের। পূর্ব মেদিনীপুর জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে অভিষেকের বৈঠকের পর ব্য়াপক রদবদল তমলুক সাংগঠনিক জেলায়। বাদ গেল না কাঁথিও।
শ্রেয়সী গঙ্গোপাধ্যায়: নজরে পঞ্চায়েত ভোট। পূর্ব মেদিনীপুরের জেলার নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়। নন্দীগ্রাম ১ ও ২ নম্বর ব্লকে এবার সংগঠন ঢেলে সাজাল তৃণমূল। ব্যাপক রদলবদল ঘটল কাঁথিতেও। বাদ গেল না তমলুকও।
রাজ্যে দুর্নীতি ইস্যুতে এখন ব্যাকফুটে তৃণমূল। এসএসসি দুর্নীতি মামলায় যখন পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করেছে ইডি, তখন গোরুপাচারকাণ্ডে জেল হেফাজতে অনুব্রত মণ্ডলও। শুধু তাই নয়, রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে চাকরি নামে প্রতারণার অভিযোগে ক্ষোভের মুখে পড়ছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতারাও। কয়েকদিন আগেই পশ্চিম ডেবরার শাসকদলের শ্রমিক সংগঠনের প্রাক্তন ব্লক সভাপতিকে রীতিমতো গাঁছে বেঁধে মারধর করা হয়!
এদিকে বছর ঘুরলেই পঞ্চায়েত ভোট। দলের সংগঠনকে মজবুত করার লক্ষ্যে মাঠে নেমেছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। গত মাসে শেষের দিকে ক্য়ামাক স্ট্রিটের অফিসে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। সূ্ত্রের খবর, জেলা নেতৃত্বকে তাঁর স্পষ্ট নির্দেশ,'দু'চারটে আসনে হারলেও জরবদস্তি করে জেতা যাবে না। প্রার্থী নির্বাচনে স্বচ্ছ ভাবমূর্তিকে গুরুত্ব দিতে হবে। সেই বৈঠকে সপ্তাহ খানের মধ্যে সাংগঠনিক রদবদল ঘটল নন্দীগ্রাম, কাঁথি ও তমলুকে। সূত্রের খবর, তৃণমূলের তমলুক সাংগঠনিক জেলায় ১৪ টি ব্লক, কাঁথিতে ১৬টি। তমলুক সাংগঠনিক জেলার মধ্যেই পড়ে নন্দীগ্রাম ১ ও ২ নম্বর ব্লক। স্রেফ নন্দীগ্রাম নয়, তমলুক সাংগঠনিক জেলার ১১টি ব্লকের সভাপতি বদল করা হয়েছে। আর কাঁথিতে নয়া ব্লক সভাপতি হয়েছেন ৮ জন। একুশের বিধানসভা ভোটে যেসব জায়গায় খারাপ ফল হয়েছিল ঘাসফুল শিবিরের, সেইসব জায়গাতেই সাংগঠনিক বদল ঘটল।
আরও পড়ুন: Calcutta High Court: চাকরির নামে এবার ধর্ষণ? তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে হাইকোর্টে মহিলা কর্মপ্রার্থী
একুশের ভোটে প্রথমে নন্দীগ্রামে কেন্দ্রে প্রার্থী হয়েছিলেন খোদ তৃণমূলনেত্রী। ভোটগণনা সকাল থেকে টানটান উত্তেজনা। কখনও এগিয়ে ছিলেন শুভেন্দু, কখনও মমতা। সংবাদ সংস্থা এএনআই দাবি করে, ১২০০-র কাছাকাছি ভোটে জিতেছেন মমতা। কিন্তু পরে জানা যায়, তৃণমূল নেত্রী জেতেননি। ১৯৫৬ ভোটের ব্যবধানে মমতাকে (Mamata Banerjee) পরাজিত করেছেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। কীভাবে বদলে গেল ফলাফল? হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকী, বিচারপতি কৌশিক চন্দের নিরপেক্ষতা নিয়েও প্রশ্ন তোলে তৃণমূল। শেষপর্যন্ত মামলা থেকে সরে দাঁড়ান তিনি। হাইকোর্ট থেকে নন্দীগ্রাম মামলা সরানোর আর্জি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এদিন সেই আবেদন খারিজ হয়ে গেল। কেন? দেশের শীর্ষ আদালতের মতে, 'মামলা সরানো হলে হাইকোর্টের বিশ্বাসযোগ্যতা ও মর্যাদা ক্ষুন্ন হবে'।