নিজস্ব প্রতিবেদন:  ২০১৯-এর ভোট দ্বিতীয় স্বাধীনতার যুদ্ধ। ১৯’এর ব্রিগেডের মঞ্চ থেকে  নতুন ডাক দিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

মোদী ও বিজেপি বিরোধী  ঐক্যবদ্ধ ভারত সমাবেশ শুরু থেকেই ছিল আক্রমণাত্মক।  প্রত্যেকের চোখে মুখে ছিল অধীর আগ্রহের ছাপ।  নেত্রী কী বার্তা দেন, সেটাই ছিল এই সভার মূল প্রতিপাদ্য বিষয়। বেলা সওয়া তিনটে। মঞ্চে বক্তৃতা শুরু করলেন নেত্রী। তার আগে অবশ্য তিনি মঞ্চে সঞ্চালকের ভূমিকায় ছিলেন।  তাঁর ভাষণের শুরু থেকেই ছিল  মানুষকে উদ্বুদ্ধ করার ডাক।  মোদী সরকারের ‘এক্সপায়ারি ডেট’ পেরিয়ে গিয়েছে বলে  তিনি বলেন, “আগামী দিনে নতুন সরকার আসছে।” তিনি বলেন,   “অনেক হয়েছে আচ্ছে দিন, বিজেপিকে বাদ দিন। গড়তে পারলে গড়ো, না হলে গদি ছাড়ো।” আয়ুষ্মান প্রকল্পে  লোগোর পাশে নরেন্দ্র মোদী ছবি থাকার প্রসঙ্গ উত্থাপন করে তিনি বলেন, “ টাকা দিচ্ছি আমরা, ছবি বিকোচ্ছে মোদী সরকার”।


আরও পড়ুন: 'ইউনাইটেড ইন্ডিয়া'র প্রধানমন্ত্রী কে হবেন? ব্রিগেড মঞ্চে ঘোষণা তৃণমূল নেত্রীর


মমতা বলেন, “আজ এখান থেকে বিজেপির শেষের শুরু হল। ব্রিগেডের আজকের সভা ইতিহাসের প্রয়োজনে হল। দেশের প্রয়োজনে সবাইকে এক জায়গায় আসতে হবে। ” রথযাত্রা প্রসঙ্গে তিনি বলেন. “ আমি তো জগন্নাথ, শ্রীকৃষ্ণের রথ টানি, আপনি তো ফাইভ স্টার রথ বানাচ্ছেন।” এনআরসি ইস্যুতে  তিনি বলেন, “অসমের নাগরিকত্ব বিলের নামে মানুষ নিধন হচ্ছে। ”


নেত্রী বলেন, “সারা ভারত সর্বস্বান্ত করছে বিজেপি।  লুঠের টাকায় ভোট, লুঠছে সব নোট। ২০১৮ সালে ২ কোটি যুবক বেকার হয়েছে। ” এরপর নেত্রী বলেন, “বিজেপিকে শূন্য পেতে দিন। বিজেপির আচ্ছে দিন আর আসবে না।” তিনি বলেন, “ইন্দিরা গান্ধীর থেকে বেশি কঠিন জরুরি অবস্থা চলছে দেশে। এখানে মানষের অধিকার নেই। ২০১৯-এর ভোট দ্বিতীয় স্বাধীনতার যুদ্ধ।” “বদলে দিন, দিল্লির সরকার বদলে দিন” এই বার্তা দিয়েই ব্রিগেডের সভা শেষ করেন তিনি।