নিজস্ব প্রতিবেদন:  শুরুটা ঠিকই ছিল, আর পাঁচ জন হেভিওয়েট নেতার মতো ব্রিগেডের মঞ্চে  তিনিও একই সুরে কথা বলছিলেন! বিজেপি তথা মোদীর বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক কথায় তখন তাঁরও চোয়াল শক্ত। আচমকাই যেন ছন্দপতন।  ততক্ষণে মুখ ফসকে গিয়েছে একটা ‘শব্দ’, আর তাতেই বেজায় অস্বস্তিতে মঞ্চে উপস্থিত প্রত্যেক নেতা, নেত্রী। প্রত্যেকেই তখন বিস্মিত! হঠাত্ ‘এটা  কী বলছেন তিনি?’ মঞ্চে উপস্থিত প্রত্যেকের চোখেমুখের পরিভাষা যেন বাতলে দিয়েছে সব কিছু। মুখ ফসকে একটাই কথা বলে এদিন ব্রিগেডের মঞ্চে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তথা অন্যান্য নেতাদের বেকায়দায় ফেলে দিয়েছিলেন হেভিওয়েট নেতা শরদ যাদব।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: 'ইউনাইটেড ইন্ডিয়া'র প্রধানমন্ত্রী কে হবেন? ব্রিগেড মঞ্চে ঘোষণা তৃণমূল নেত্রীর


নোট বাতিলের প্রসঙ্গ টেনে বক্তৃতা শুরু করেছিলেন শরত যাদব।  তাঁর আক্রমণের সিংহভাগ জুড়েই ছিল মোদী সরকারের একের পর এক দুর্নীতির কথা। জিএসটি-র প্রসঙ্গও উত্থাপন করেন তিনি।  বক্তৃতার ফাঁকে আচমকাই তিনি বলে ওঠেন, “বোফর্সের মতো এত বড় দুর্নীতি কখনও দেখেনি দেশ।” তখনই ছন্দপতন! যেন তাল কাটল আমেজের।  প্রত্যেকেই বুঝতে পেরেছেন মুখ ফসকেই কথাটা বলেছেন তিনি। কিন্তু তিনি তো কথা বলছেন, তার কথা কাটেননি কেউ।



আরও পড়ুন: ২০১৯-এর ভোট দ্বিতীয় স্বাধীনতার যুদ্ধ, নতুন ডাক মমতার


মঞ্চে বসা প্রত্যেকে হেভিওয়েটের বুঝতে দেরি হয়নি, বিহারের তাবড় এলজিডি নেতা শরদ যাদবের ভুলটা হয়েছে কোথায়! তাঁর কথা বলার শেষে নেত্রী  তথা ব্রিগেড মঞ্চে ‘সঞ্চালক’  মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শরদ যাদবের হাত থেকে মাইক নিয়ে ভুল সংশোধন করেন তিনি। নেত্রী বলেন, “বোফর্স নয়, শরদ যাদব আসলে রাফাল দুর্নীতির কথা বলেছেন।” এক ধারায় কথা বলেছিলেন শরদ যাদব। তিনি হয়তো নিজেও তখনও নিজের ভুলটা ধরতে পারেননি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন বললেন, তখনই হেসে ফেলেন তিনি। বলেন, “হ্যাঁ, হ্যাঁ, রাফাল দুর্নীতির কথাই বলতে চেয়েছিলাম।” স্বস্তি ফেরে মঞ্চে উপস্থিত সকল নেতার।