নিজস্ব প্রতিবেদন: পোয়া বারো রাজনীতিকদের! একই দিনে মহালয়া, তর্পণ, বিশ্বকর্মার আরাধনা। কাকে ছেড়ে কাকে ধরবে! বাঙালির এমন আবেগঘন দিনে যেন দড়ি টানাটানি শুরু হয়ে গিয়েছে বঙ্গ রাজনীতিতে। বিজেপি তর্পণের দিকে ঝুঁকলে, তৃণমূল বলছে মহালয়া শোনাবে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বিছানার পাশে রেডিয়ো আর ঘড়িতে অ্যালার্ম দিয়ে রাখার দরকার নেই। ভোরে আলো ফোটার আগেই বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের সেই অমোঘ কণ্ঠে 'আশ্বিনের শারদপ্রাতে' স্ত্রোতপাঠ ভেসে আসবে আপনার জানালা দিয়ে। শুধু জানালাটা খুলে রাখলেই হবে। হ্যাঁ, এমনই ব্যবস্থা করতে চলেছে তৃণমূলের বঙ্গজননী। তৃণমূলের সাংস্কৃতিক মহিলা উইং হলো এই বঙ্গজননী। যার নেতৃত্বে রয়েছেন সাংসদ কাকলী ঘোষদোস্তিদার।


তৃণমূল বিধায়ক শশী পাঁজা জানান, বাংলার মানুষ যাতে বাড়িতে বসেই মহালয়া শুনতে পারেন, তার ব্যবস্থা আমরা করছি। তবে, তাঁরা রাজনীতি করছেন না এটা স্পষ্ট করে দিয়েছেন শশী পাঁজা। তৃণমূলের যুক্তি, করোনা আবহাওয়ায় মহালয়ার সকালে যদি আনন্দের ছোঁয়া দেওয়া যায়, তারই ব্যবস্থা করছি। তাই খাওয়া দাওয়া মাথায় তুলে পাড়ায় পাড়ায় মাইক লাগানোর কাজে নেমেছেন তৃণমূল কর্মীরা। শশী পাঁজার সব পাড়াতেই মহালয়ার সব মাইক বসে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।


অন্যদিকে তর্পণ নিয়ে বিজেপিও ময়দানে কসরত করছে। গতবারের মতো এবছরও 'শহিদ' দলীয় কর্মীদের উদ্দেশে মহালয়ার দিনে তর্পণ করবে বিজেপি। মঞ্চ হয় বাগবাজার ঘাটে। তবে পুলিস এসে সে মঞ্চ খুলে দেয় বলে অভিযোগ। জানা গিয়েছে, করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে এবার শুধু দক্ষিণবঙ্গের ‘শহিদ’ পরিবারগুলিকে নিয়েই তর্পণ করবেন বিজেপি নেতারা। 


আরও পড়ুন- অবৈধ সম্পর্ক, খুন! সালাউদ্দিন হত্যাকাণ্ডে দোষী সাব্যস্ত মিলি ও বাপির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড


মোট ২২টি পরিবারকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন কর্মসূচির তদারকিতে থাকা বিজেপি নেতা সৌরভ শিকদার। মহালয়ায় বাগবাজার ঘাটে তর্পণ করবেন বিজেপির পশ্চিমবঙ্গের পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয় ও অরবিন্দ মেনন। সঙ্গে থাকবেন মুকুল রায়, রাহুল সিনহাও।