কলকাতা : বাগুইআটিতে প্রকাশ্য রাস্তায় নৃশংসভাবে খুন হলেন তৃণমূল কর্মী। তৃণমূলের দুই  হেভিওয়েট নেতার গোষ্ঠীকোন্দলের জেরেই এই খুন? উঠছে এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বিধাননগর পুরভোটে উত্তাল হয়েছিল বাগুইআটি। বোমাবাজি, বাইকে আগুন, মারপিট। বাদ যায়নি কিছুই। বিধানসভা ভোটের আগেও ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠছে সেই এলাকা। বাড়ছে দুষ্কৃতী তাণ্ডব। প্রকাশ্য রাস্তায় নৃশংসভাবে খুন হতে হল তৃণমূল কর্মীকে।


তৃণমূল সূত্রে খবর, পূর্ণেন্দু বসু এবং দোলা সেনের একসময়ের ঘনিষ্ঠ ট্রেড ইউনিয়ন নেতা বিশ্বজিত্‍ বিশ্বাসের অনুগামী হিসেবে পরিচিত ছিলেন সঞ্জয়। কিন্তু পুরভোটের সময় থেকেই  সব্যসাচী দত্তর ঘনিষ্ঠ হয়ে পড়েন বিশ্বজিত্‍ বিশ্বাস এবং তাঁর সঙ্গে সঞ্জয়ও।


ঠিক যেন সিনেমার চিত্রনাট্য। বাগুইআটি বাজারের কাছে বাইকে চেপে যাচ্ছিলেন তৃণমূল কর্মী সঞ্জয় রায়। সঙ্গে আরও দুজন। জগত্‍পুর ব্রিজের আগে হঠাত্‍ই তাঁদের তাড়া করে দুষ্কৃতীরা। আচমকা শুরু হয় পিছন থেকে গুলিবৃষ্টি। বাইক থেকে পড়ে যান সঞ্জয় ও তাঁর সঙ্গীরা। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বাইক ফেলে পালিয়ে যান সঞ্জয়ের দুই বন্ধু। দৌড়তে থাকেন সঞ্জয়ও। তবে পিছু ধাওয়া করে গুলি চালাতে থাকে দুষ্কৃতীরা। খালপাড়ের কাছে বুলেটবিদ্ধ হয়ে লুটিয়ে পড়েন সঞ্জয়। মৃত্যু নিশ্চিত করতে চপার দিয়ে তাঁকে কোপাতে থাকে দুষ্কৃতীরা। এরপর বাইকে চেপে উধাও হয় দুষ্কৃতীরা।


ঘটনার পর এলাকায় যান বিধাননগরের পুলিস কমিশনার জাভেদ শামিম, গোয়েন্দা প্রধান কঙ্কর প্রসাদ বাড়ুই সহ পুলিসের শীর্ষকর্তারা। পুলিসের দাবি, সঞ্জয় খুনে উঠে এসেছে কয়েকটি নাম। পুলিস-কুকুর দিয়ে এলাকায় ব্যাপক তল্লাসি চালানো হয়। দুষ্কৃতীরা ধরা পড়লে খুনের মোটিভ আরও স্পষ্ট হবে বলে দাবি তদন্তকারীদের।


সূত্রের খবর, দলের গোষ্ঠীকোন্দলের জেরেই খুন হতে হয়েছে সঞ্জয় রায়কে। তবে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগ মানতে নারাজ এলাকার কাউন্সিলর।


প্রকাশ্য রাস্তায় এভাবে দুষ্কৃতী তাণ্ডব এবং খুনের ঘটনায় রীতিমতো আতঙ্কিত এলাকার বাসিন্দারা।