প্রবীর চক্রবর্তী: 'বাঙালি হিসেবে মর্মাহত ও লজ্জিত'। পঞ্চায়েত ভোটে অশান্তিতে বিস্ফোরক তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। তাঁর মতে, 'এত মানুষ খুন হলেন, আটকানো গেল না। এটা আমাদের সবার ব্যর্থতা'।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: Governor CV Ananda Bose: পঞ্চায়েত ভোট মিটতেই দিল্লি সফরে রাজ্যপাল


কোনও একটি নির্দিষ্ট জেলা নয়। পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গতকাল, শনিবার দিনভর অশান্তি চলে গোটা রাজ্যেই। সঙ্গে ছাপ্পা ভোট! ৭ জেলার ভোটের বলি ১৫ জন। কেন এত মৃত্যু, রক্তপাত? 'আতঙ্কিত' খোদ পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরার তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ন কবীর।


জি ২৪ ঘণ্টাকে হুমায়ুন কবীর বলেন, 'এবার আমি খুব আশাবাদী ছিলাম যে, আমাদের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আন্তরিকভাবে বলেছেন, রক্তপাতহীন ভোট হবে। বিরোধীরা নমিনেশন দেবে। বিরোধীদের ভোট দেওয়াটা নিশ্চিত করতে হবে। নবজোয়ারের সময়ে প্রোগামগুলি করছিলেন, আমি সত্যিই মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিলাম'।


তৃণমূল বিধায়কের আক্ষেপ, 'এত লোকের মৃত্যু মেনে নেওয়া যায় না, এখনকার দিনে, ২০২৩-এ বসে। যেখানে আমাদের সর্বোচ্চ নেতৃত্ব বারবার করে বলেছে, যেভাবেই হোক গ্রাউন্ড লেভেলে আমরা যারা কাজ করছি, আমাদের কাছ পর্যন্ত পৌঁছয়নি বা আমরা সাধারণ কর্মীদের মধ্যে পৌঁছে দিতে পারেনি। বিরোধীরা দল যাঁরা রয়েছে, তাঁদেরও দায়িত্ব ছিল যাতে মানুষের মৃত্যুটা না হয়'।



আরও পড়ুন: WB Panchayat Election 2023: গুলি-বোমা, রক্তপাতের আবহে কত শতাংশ ভোট পড়ল? জানাল নির্বাচন কমিশন


হুমায়ুন কবীর নিজে একজন অবসরপ্রাপ্ত আইপিএস অফিসার। তিনি বলেন, 'আমরা যখন ভোট করেছি, বলা হত, আপনি চিহ্নিত করুন। ভার্নরেবল ম্য়াপিং করে আমাদের জানান। সেই ভার্নরেবল ম্য়াপিং করে আমরা সেটা জানাতাম। তারপর কী অ্য়াকশন নেওয়া হচ্ছে, কতগুলি গ্রেফতারি পরোয়ানা কার্যকর করা হচ্ছে। নিয়মিত রিপোর্ট পাঠাতে হত। এগুলি কতটা কী হয়েছে, আমি জানি না'। সঙ্গে বার্তা, '২০০৮ সালে সবথেকে মর্মান্তিক ঘটনাটা ঘটেছিল বামফ্রন্ট আমলে। অনেকটা কমেছে। কিন্তু আত্মতুষ্টির কোনও জায়গা নেই'।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)