সৌমেন ভট্টাচার্য: বিস্ফোরক রাজারহাট নিউটাউনের বিধায়ক তাপস চট্টোপাধ্যায়। বুধবার নিউটাউনে মুখ্যমন্ত্রীর বিজয়া সম্মিলনী অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ না পেয়ে বিস্ফোরক রাজারহাট নিউটনের বিধায়ক তাপস চট্টোপাধ্যায়। তাপস চট্টোপাধ্যায় বলেন, 'আমি খুবই মর্মাহত, গতবারও আমাকে জানানো হয়নি। দু'বছর ধরেই দলে আমার কোনও স্টেটাস নেই। ২ বছর ধরে আমায় বিজয়া সম্মিলনীতে ডাকা হয় না। দলে একটা চাকরশ্রেণি আর আরেকটা বাবুশ্রেণি। দলে আমার স্টেটাসটা চাকরশ্রেণির। চাকরদের সম্মান জানিয়ে বলছি, আমি চিরকাল শ্রমজীবী মানুষদের হয়ে লড়াই করেছি।' 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

তিনি আরও বলেন, 'যাঁরা ২০২১-এ সাম্প্রদায়িকতাকে সমর্থন করেছিলেন। দিদিকে বেগম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন। তাঁরা নানান কারণে স্থান পেয়ে যান। স্থান পান না আমার মত লোকেরা। একুশের বিধানসভা ভোটে আমি ৫৬ হাজার ভোটে জিতি। নিউটাউনের ইতিহাসে কেউ কখনও এত ভোটে জিততে পারেনি। ৩৯ বছর ধরে আমি রাজারহাটে জনপ্রতিনিধিত্ব করছি। ৪৬ বছর হয়ে গেল আমার রাজনীতিতে। সেখানে দাঁড়িয়ে আমি সম্মানটাই চাই। কিন্তু আমার কোনও কথা বলার সুযোগ নেই। কীভাবে কথা বলতে হয় দলে, আমার জানা নেই। সিপিআইএম থেকে আসায় যদি আমার সততা নিয়ে কোনও প্রশ্ন থাকে, তাহলে আমার কিছু করার নেই। কিন্তু দলের কোনও কর্মী বলতে পারবে না যে তাপস চট্টোপাধ্য়ায়ের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে কোনও প্রশ্ন আছে।'


এপ্রসঙ্গে তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন বলেন, 'কোথাও কোনও অভিমান থাকতে পারে। সেটা বলার নির্দিষ্ট জায়গা আছে। তাপসবাবু আমাদের দলের একজন বিধায়ক ও দক্ষ সংগঠক। এই নিয়ে কোনও দ্বিমত নেই। অভিমান-ই প্রমাণ করে যে দুটো মানুষের মধ্যে ভাব-ভালোবাসা কতটা গভীর। তৃণমূল কংগ্রেস একটা পরিবার।' পাশাপাশি, তিনি আরও বলেন, 'একটা বড় কর্মকাণ্ডে ছোটখাটো কোনও ঘটনা ঘটতে পারে। কোথাও পদ্ধতিগত ত্রুটি হয়ে থাকতে পারে।'


আরও পড়ুন, Exclusive: বিজেপির নেতার বাবা 'বন্ধু'! 'পুজোর সময়ে ওদের বাড়িতে যাই', বললেন সুদীপ


প্রসঙ্গত বিধায়ক আরেক তাপসও 'বেসুরো' গাইছেন। সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাপস রায়ের সম্পর্ক মধুর নয় একেবারেই! বরং দু'জনের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই সংঘাত চলছে বলে খবর। বিজেপির উত্তর কলকাতা জেলা সভাপতি রদবদলের পর সেই সংঘাতই যেন এবার প্রকাশ্যে চলে এল! কল্যাণ চৌবের জায়গায় বিজেপির উত্তর কলকাতা জেলা সভাপতি হয়েছেন তমোঘ্ন ঘোষ। তাপস রায়ের বিস্ফোরক অভিয়োগ,  'তমোঘ্নের বাবা তপন ঘোষ সুদীপ বন্দ্য়োপাধ্যায়ের সচিব। তমোঘ্নকে মমতার কাছে নিয়ে গিয়েছিলেন সুদীপ। টিএমসিপির সভাপতি করার কথা বলেছিলেন। দুর্গাপুজোর সময়ে তমোঘ্নের বাড়িতে যান সুদীপ, শুভেন্দু ও কল্যাণ চৌবে।' তৃণমূল বিধায়কের আরও  বক্তব্য, 'কে কার ব্যক্তিস্বার্থে কী করছে, জানি না। অনেকেই একাধিক দলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন। দলনেত্রীকে ব্যক্তিস্বার্থে ব্য়বহার করেন।' 


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)