নিজস্ব প্রতিবেদন: শিক্ষায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। সাহসিকতায় নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বোস। আর প্রশাসনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আরও একবার 'বহিরাগত' ইস্যুতে বিজেপিকে বিঁধলেন তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার। তাঁর কথায়, ''পশ্চিমবঙ্গে বাঙালি নেতাদের উপরে ভরসা নেই বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের। তাই বাইরে থেকে নেতা আনতে হচ্ছে।''   


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এ দিন কাকলি ঘোষ দস্তিদার বলেন,''স্বাধীনতা সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন বাঙালিরা। শিক্ষাক্ষেত্রে নোবেল প্রাপক রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। সাহসিকতার নাম আসলে নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বোস। আর প্রশাসনের নাম বললে আসবেন আমাদের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতার বিরুদ্ধে লড়ার কে আছে?  কেউ নেই ওদের। ভুয়ো খবর ছড়াচ্ছে। বাইরে থেকে নেতা আনছে। এখানে যাঁরা আসছেন, বাংলার কৃষ্টি, বাংলার স্বাধীনতা সংগ্রাম সম্পর্কে তাঁদের ধারণা নেই। বাংলার মা-বোনেদের সম্মান করতে জানে না।''


পশ্চিমবঙ্গকে পাঁচটি জোনে ভাগ করে ৫ নেতাকে দায়িত্ব দিয়েছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। তাঁরা সকলেই ভিন রাজ্যের। অক্টোবরে রাজ্যে এসেছিলেন দলের সর্বভারতীয় জেপি নাড্ডা। তারপর অমিত শাহ এলেন নভেম্বরে। ভিনরাজ্যের নেতাদের 'বহিরাগত' তকমা দিচ্ছে তৃণমূল। এ দিন কাকলি বলেন, যে কয়েকজন বাঙালি নেতা পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বা আছেন, তাঁদের উপরে মনে হচ্ছে না ভরসা আছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের। সে জন্য নেতা আমদানি করতে হচ্ছে। দেশের অন্যান্য জায়গা থেকে নেতারা আসছেন। বাঙালির উপরে আস্থা রাখতে পারছে না বিজেপি। বাঙালির মাথার উপরে চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এটা ভালো চোখে দেখছে না বাঙালি।''


গতকাল তৃণমূল নেতা তথা রাজ্যের মন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেছিলেন, ১৯৩৯ সালে হারলেন সুভাষচন্দ্র বোস। নানাভাবে তাঁকে কোণঠাসা করা হল। ভারতের রাজনীতি ছেড়ে চলে যেতে হয়েছিল সুভাষকে। তার হুবহু পুনরাবৃত্তি ঘটল ৫০ বছর পরে। সুভাষ বোস আলাদা দল গঠন করেছিলেন। মমতাকে সুভাষের মতো লড়াই করতে হয়েছে। আজাদ হিন্দ ফৌজ তৈরি করতে হয়েছে, তার নাম তৃণমূল কংগ্রেস। তাঁকে নিয়ন্ত্রণ করতে পশ্চিম ও উত্তর ভারত থেকে লোক পাঠানো হচ্ছে।''


কাকলি ঘোষ দস্তিদারের এ দিনের বক্তব্য নিয়ে প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হওয়ার আগে পর্যন্ত বিজেপির তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া আসেনি।  


আরও পড়ুন- ভ্রান্তিবিলাস! শ্রাদ্ধের আগের দিন হেঁটে ফিরলেন করোনায় মৃত, তোলপাড় স্বাস্থ্যমহল