নিজস্ব প্রতিবেদন: দোল ও হোলির পর প্রীতি সম্মেলন। আয়োজক তৃণমূল কংগ্রেস। সেখানে উপস্থিত থাকবেন দলের হেভিওয়েটরা। অথচ যে ওয়ার্ডে এই অনুষ্ঠান, সেই ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেস কাউন্সিলরের নামই নেই আমন্ত্রণপত্রে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


হোলি প্রীতি সম্মেলন। রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে ছ'টা থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যোগে বিধাননগরের বিএফ পার্কে হবে ওই অনুষ্ঠান। সেখানে উপস্থিত থাকবেন কলকাতার মেয়র তথা পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, রাজ্যের তিনমন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসু, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ও ব্রাত্য বসু।


আরও পড়ুন: র‌্যাপে বিজেপিকে টেক্কা দিয়ে চওড়া হাসি তৃণমূলের


এছাড়াও থাকবেন বারসাতের সাংসদ ও এবার ওই কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী কাকলি ঘোষ দস্তিদারও। ওই অনুষ্ঠানের জন্য যে আমন্ত্রণপত্র ছাপানো হয়েছে, তাতে আমন্ত্রণকারী হিসেবে নাম রয়েছে রাজ্যের মন্ত্রী সুজিত বোসের।



যেখানে অনুষ্ঠান হবে, সেই জায়গাটি বিধাননগর পুরনিগম এলাকায়। ওই পুরনিগমের মেয়র তৃণমূলের সব্যসাচী দত্ত। এমনকী যে ওয়ার্ডে অনুষ্ঠান, সব্যসাচী সেখানকার কাউন্সিলর। অথচ আমন্ত্রণপত্রে নাম নেই।


আরও পড়ুন: তদন্ত শেষ, লোকসভা ভোটের মধ্যেই নারদাকাণ্ডের চার্জশিট, জানাল সিবিআই


কেন নাম নেই, তা নিয়েই জল্পনা শুরু হয়েছে রাজ্যের রাজনৈতিক মহলে। রাজনৈতিক মহলের ব্যখ্যা, সব্যসাচী দত্তের বাড়িতে বিজেপি নেতা মুকুল রায় যাওয়ার পর থেকেই দলের সঙ্গে তাঁর দূরত্ব তৈরি হয়।


সব্যসাচী বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন বলে জল্পনা তৈরি হয়। সেই জল্পনা আরও উস্কে দিয়ে সব্যসাচী জানিয়েছিলেন, মুকুল রায় চাইলেই তাঁর বাড়িতে আবার লুচি-আলুরদম খেতে আসতে পারেন। তার পর দোলের দিনও তাঁর বেশকিছু মন্তব্যে জল্পনার মাত্রাকে আরও বাড়িয়েছিল।


আরও পড়ুন: "পাঁচ বছরে একটা মন্দিরও বানায়নি! রামমন্দিরের নামে রাজনীতি হচ্ছে"


তবে তিনি তৃণমূল ছাড়ছেন বলে কোনও মন্তব্য কখনও করেননি। কিন্তু দলের এই পদক্ষেপে তাঁর সঙ্গে দূরত্ব আরও স্পষ্ট হল বলে ব্যখ্যা রাজনৈতিক মহলের।