নিজস্ব প্রতিবেদন:  কেন্দ্রীয় সরকার চক্রান্ত করে বাংলায় দুর্গাপুজো বন্ধ করে দিতে চাইছে। পুজো কমিটিগুলিকে আয়কর নোটিসের প্রতিবাদে মঙ্গলবার সকাল থেকে সুবোধ মল্লিক স্কোয়ারে হিন্দ সিনেমাহলের বিপরীতে অবস্থান বিক্ষোভে সামিল হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের বঙ্গ জননী শাখা। রয়েছেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, কাকলি ঘোষ দস্তিদার, নয়না বন্দ্যোপাধ্যায়রা। এছাড়াও রয়েছেন পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

 



তৃণমূলের প্রশ্ন, কেন দুর্গাপুজো কমিটিগুলিকে আয়কর নোটিস পাঠাবে কেন্দ্র?  তাঁদের দাবি, বাংলায় পুজো কমিটিগুলি চাঁদা তুলে দুর্গাপুজো করে থাকে। অনেকে এক্ষেত্রে ডোনেশনও দেন। পুজোর সঙ্গে কারোরই কোনও ব্যক্তিগত স্বার্থ জড়িত নয়. তবে কেন আয়কর নোটিস?


এপ্রসঙ্গে ফিরহাদ হাকিম বলেন, “পুজো করার ক্ষেত্রে কোনও কমিটিরই কোনও ব্যক্তিগত স্বার্থ নেই। কেউ এর মাধ্যমে ব্যক্তিগত স্বার্থ চরিতার্থ করতে আসেন না। যদি কেউ ব্যক্তিগত ব্যবসা বৃদ্ধির কথা ভাবতেন, তাহলে তাঁর কাছে আয়কর নোটিস আসতে পারত। কিন্তু এক্ষেত্রে এটি একেবারেই বেআইনি।” কেন্দ্রকে তাঁর স্পষ্ট বার্তা, “ধর্মের ওপর এই আঘাত আমার মেনে নেব না, মানব না।” তিনি আরও অভিযোগ করেন, "দুর্গাপুজো কমিটিগুলিকে দখল করতে চেয়ে না পেরে এখন ওরা এসব করছে। "


দুর্গাপুজো কমিটিগুলিকে আয়কর নোটিস! মুখ্যমন্ত্রীর বিরোধিতার পরেই নড়েচড়ে বসলেন আয়কর কর্তারা


এক্ষেত্রে প্রশ্ন ওঠে, আয়কর দফতর কেবল পুজো কমিটিগুলিকে ডেকে কীভাবে আরটিআই ফাইল করতে হয় তা বুঝিয়েছে, সেক্ষেত্রে কেন এই বিক্ষোভ?  এক্ষেত্রে কাকলি ঘোষ দস্তিদারের পাল্টা জবাব, পুজো কমিটিগুলিকে কেন ডেকে এভাবে হেনস্থা করা হল? দুর্গাপুজো মানেই বাঙালি তথা বাংলার প্রত্যেকটা মানুষের কাছে একটা আবেগ। এর মাধ্যমে বাঙালির আবেগকে আঘাত করা হয়েছে। কেন পুজো কমিটিগুলির সময় নষ্ট করা হয়েছে।


 রাজনৈতিক চাপানউতোরে মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিবাদের পাশে দাঁড়াচ্ছে কলকাতার বেশ কয়েকটি নামী পুজো কমিটি।  আর এই বিক্ষোভের মাধ্যমেই আরও একবার কেন্দ্রের সঙ্গে সরাসরি সংঘাতে পা বাড়ালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিকে পাল্টা ট্যুইট করে বাবুল সু্প্রিয় দাবি করেছেন, দীর্ঘদিন চিটফান্ডের টাকায় পুজো হয়েছে। লাগাম টানতেই কড়া হচ্ছে আয়কর দফতর।