নিজস্ব প্রতিবেদন: কেউ সারদায় অভিযুক্ত, তো কাউকে আবার গোপন ক্যামেরায় টাকা দিতে গিয়েছে নারদায়। ভোটের মুখে শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)-সহ যাঁরা দল ছেড়েছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে আর্থিক অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগকে হাতিয়ার করেছে তৃণমূল (TMC) নেতৃত্ব। সিবিআই-ইডির হাত থেকে বাঁচতে দলবদলের তত্ত্ব খাড়া করা হয়েছে দলের তরফে। রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Rajib Banerjee) বিরুদ্ধে কিন্তু তেমন কোনও অভিযোগ নেই। তাহলে? তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) প্রতিক্রিয়া, 'যাঁরা অভিযোগ জানানোর নাম করে দলের ক্ষতি করার চেষ্টা করছিলেন, ক্ষতি করতে না পেরেই তাঁরা অন্য শিবিরে স্থানান্তরিত হয়ে যাচ্ছেন।'  সৌগত রায়ের (Sougata Roy) কটাক্ষ, 'কাজ না করে ফেসবুকে লাইভ দিচ্ছিলেন। এই কথাগুলি তো মন্ত্রিসভায় বলতে পারতেন।' মন্ত্রিত্ব থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Rajib Banerjee) আক্রমণ করেছেন তৃণমূলের আরও দুই সাংসদ শতাব্দী রায় (Satabdi Roy) ও কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ও (Kalyan Banerjee)।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

১৬ জানুয়ারি ফেসবুকে লাইভেই কি ইঙ্গিতটা ছিল? সেদিন খোলসা না করলেও, দলের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক কয়েকটি অভিযোগ তুলেছিলেন সদ্য় প্রাক্তন বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় (Rajib Banerjee)। বলেছিলেন,  'আমি এখনও ধৈর্য্য ধরে আছি। ধৈর্য্যচ্যুত হইনি। আমার পদে মোহ নেই, মানুষের জন্য কাজ করতে চাই।' আক্ষেপ ঝরে পড়েছিল তাঁর গলায়, 'যখনই দেখি যুবকরা চাকরি, পড়াশোনার জন্য হন্যে হয়ে ঘুরছেন, তখন আমার খারাপ লাগে। তাঁদের পাশে দাঁড়ানো উচিত। যখন এখানে চাকরি না পেয়ে তাঁরা বাইরে চলে যান, তখন কষ্ট হয়। খানিকটা হলেও সাধারণ মানুষের পাশ থেকে সরে গিয়েছে দল। ভুল স্বীকার না করলে মানুষের পাশে থাকা যায় না।' 


আরও পড়ুন: ক্ষোভের মাঝেই আবেগে কাঁদলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, বললেন, 'সৌজন্য আশা করেছিলাম'


এদিন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় (Rajib Banerjee) মন্ত্রিত্ব থেকে ইস্তফা দেওয়ার সেই ফেসবুক লাইভের প্রসঙ্গ তোলেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় (Sougata Roy)। বললেন, 'রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় মন্ত্রিসভার বৈঠক থাকছিলেন না। ফেসবুক লাইভে যে কথাগুলি বলেছে, সেটা দলের বিরুদ্ধে গিয়েছে। এই কথাগুলি তো মন্ত্রিসভায় বলতে পারতেন। দলের তরফে বোঝানোর বোঝানোর চেষ্টা হয়েছে। পার্থ চট্টোপাধ্যায় বহুবার কথা বলেছেন। না বুঝলে কী আর করব! দলের তরফে ব্য়বস্থা নিতেই হতে, নিজেই পদত্যাগ করেছেন। ভালোই হয়েছে।' পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) দাবি, 'কাজ করার ইচ্ছা থাকলে, এই দলে (তৃণমূল) অনেক কাজ করা যায়। যখন আনুগত্যের অভাব হয়, তখনই কারণ খোঁজেন। বাংলার মানুষই উত্তর দেবেন।'  সঙ্গে বিজেপিকে কটাক্ষ, 'পুরনো নেতারা কোথায়? যাঁরা তৃণমূলকে শক্তিশালী করতে পারল না, তাঁদের নিয়ে পরিবর্তন করতে চাইছে। সাংগঠনিক ক্ষমতা এমনই যে, ভাড়া করা প্লেয়ার নিয়ে চালাতে হচ্ছে। তাঁদের সঙ্গে একটা নম্বর যুক্ত হল।'  যদিও মন্ত্রিত্ব থেকে ইস্তফা দিলেও বিজেপিতে যাচ্ছেন বলে ঘোষণা করেননি রাজীব বন্দ্যোপাধ্য়ায় (Rajib Banerjee)।


আরও পড়ুন": ৫ ডিসেম্বর থেকে বেসুরো, ২২ জানুয়ারি ইস্তফা, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেড় মাসের 'বিক্ষোভ-পর্ব'


সোশ্যাল মিডিয়ায় লাইভ করে নয়, ক'দিন আগে ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন বীরভূমের সাংসদ শতাব্দী রায় (Satabdi Roy)। শেষপর্যন্ত কুণাল ঘোষের (Kunal Ghosh) উদ্যোগে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) সঙ্গে বৈঠকের পর ট্র্যাকে ফেরেন তিনি। এখন তৃণমূলের রাজ্য সহ-সভাপতি শতাব্দী। তাঁর কী প্রতিক্রিয়া? স্পষ্ট জবাব এল, 'অভিযোগ যতই যুক্তিযুক্ত হোক না, ভোটের আগে দল ছাড়া বা দলকে বিপদে ফেলা মানে গদ্দার, মীরজাফরের পোস্টারই পেতে হবে।'  আর এক সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Kalyan Banerjee) বিস্ফোরক দাবি, 'পুরমন্ত্রী ববি হাকিম আলোচনা জন্য ডেকেছিলেন, কিন্তু রাজীব কথা বলেননি।'