CV Ananda Bose | Kunal Ghosh: রাজ্যপালের পোশাক নিয়ে তোপ তৃণমূলের, ট্যুইট করলেন কুণাল ঘোষ
বাংলার রাজ্যপাল হয়ে আসার পর প্রথম কিছুদিন রাজ্যের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখেছিলেন সি ভি আনন্দ বোস। কিন্তু সম্প্রতি রামনবমী থেকে শুরু করে ভোটের হিংসা নিয়ে তাঁর পদক্ষেপ অস্বস্তিতে ফেলেছে রাজ্য সরকারকে। পঞ্চায়েত নির্বাচনে মনোনয়ন জমাকে কেন্দ্র করে যে পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে তা খতিয়ে দেখতে বিভিন্ন যায়গায় গিয়েছেন রাজ্যপাল।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ফের বিস্ফোরক কুণাল ঘোষ। এবার রাজ্যপালের পোশাক নিয়ে তোপ দাগ্লেন তিনি। একটি বিস্ফোরক ট্যুইটে রাজ্যপালের পোশাক ও সানগ্লাস কেনা নিয়ে লিখেছেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। এর পাশাপাশি রাজ্যপালের জন্য বরাদ্দ হওয়া অর্থ খরচের অডিট করার দাবি তুলেছেন তিনি।
ট্যুইটে কুণাল লেখেন, 'মহামান্য রাজ্যপাল কি নিজের পোশাক, স্যুট, সানগ্লাস, জুতো কিনেছেন সরকারি টাকায়? উত্তর হ্যাঁ হলে তা অনৈতিক। তাঁর নিজের পোশাক নিজের টাকায় কেনা উচিত। রাজভবনের জন্য বরাদ্দ অর্থের অডিট কার উচিত ঠিকভাবে। যদি এই অভিযোগ ভুল হয় তাহলে আমি ক্ষমা চাইতে প্রস্তুত’।
বাংলার রাজ্যপাল হয়ে আসার পর প্রথম কিছুদিন রাজ্যের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখেছিলেন সি ভি আনন্দ বোস। কিন্তু সম্প্রতি রামনবমী থেকে শুরু করে ভোটের হিংসা নিয়ে তাঁর পদক্ষেপ অস্বস্তিতে ফেলেছে রাজ্য সরকারকে।
আরও পড়ুন: Dilip Ghosh: 'ওনারা ভেবেছিলেন রাজ্যপাল জগন্নাথ হয়ে বসে থাকবেন', তৃণমূলকে আক্রমণ দিলীপ ঘোষের
পঞ্চায়েত নির্বাচনে মনোনয়ন জমাকে কেন্দ্র করে যে পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে তা খতিয়ে দেখতে বিভিন্ন যায়গায় গিয়েছেন রাজ্যপাল। রাজ্যপালের ভূমিকা যে খুব একটা ভালভাবে নিচ্ছে না শাসক দল তা গত দু’দিনে বুঝিয়ে দিয়েছেন বেশ কয়েকজন নেতা। রবিবার ফের একবার রাজ্যপালকে নিশানা করল শাসক দল।
শনিবার অর্থাৎ ১৭ জুন বিকেল সাড়ে ৫টা নাগাদ ক্যানিং পৌঁছন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। ক্যানিংয়ে পৌঁছেই সেচ দফতরের একটি ভবনে প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন তিনি। সেই বৈঠকে পুলিস এবং প্রশাসনের আধিকারিকেরা ছিলেন। বৈঠকের পর বিডিও অফিসে গিয়েছিলেন রাজ্যপাল। একইসঙ্গে হিংসা ছড়িয়ে পড়া এলাকাগুলোতেও।
রাজভবন সূত্রে খবর, শনিবারই তাঁর রাজ্যের বাইরে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সমস্ত কর্মসূচি বাতিল করে ক্যানিংয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। শনিবার দুপুরে রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে আসেন বিজেপি সভাপতি তথা বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। পরে রাজভবনের বাইরে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন বিজেপি সভাপতি। সেখানে তিনি বলেন, ‘পঞ্চায়েত নির্বাচন অবাধ এবং শান্তিপূর্ণ করতে বদ্ধপরিকর রাজ্যপাল। তিনি আমাকে আশ্বাস দিয়েছেন, যে ভাবে সন্ত্রাস আটকানো সম্ভব, তা তিনি করবেন’।
আরও পড়ুন: Panchayet Election 2023: পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন পর্বে হিংসা, রাজভবনে কন্ট্রোলরুম
শুক্রবার রাজনৈতিক হিংসায় উত্তপ্ত ভাঙড়ে গিয়েছিলেন রাজ্যপাল। সেখানকার বিজয়গঞ্জ বাজার ঘুরে দেখেন তিনি। তার পর যান ভাঙড় ১ এবং ২ নম্বর ব্লক অফিসে। সেখানে কথা বলেন আধিকারিকদের সঙ্গে।
ভাঙড়ে দাঁড়িয়েই রাজ্যপাল বলেন, ‘গণতন্ত্রের স্বার্থে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করতে হবে। সাংবিধানিক ভাবে হিংসাকে নির্মূল করতে হবে। হিংসা কোনও ভাবেই বরদাস্ত করা হবে না। দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করা হবে’।