কমলিকা সেনগুপ্ত


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

রাজ্যে বিজেপির উত্থানের সঙ্গে সঙ্গে প্রবলভাবে সামনের সারিতে এসে পড়েছেন অযোধ্যার মর্যাদা পুরষোত্তম রামচন্দ্র। বাঙালির মুখেও এখন 'জয় শ্রী রাম' ধ্বনি। নির্বাচনী প্রচারেও 'জয় শ্রী রাম' হয়ে উঠেছিল বঙ্গীয় রাজনীতির প্রতিপাদ্য। ভোটের পরও 'জয় শ্রী রাম'-এর মোকাবিলায় মাঠে নেমে পড়েছে তৃণমূল। গতকাল নৈহাটির সভায় 'জয় হিন্দ' বলতে নির্দেশ দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।এবার ফেসবুকে কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম লিখলেন, 'জয় মা দুর্গা শুনেছি, কিন্তু জয় শ্রী রাম কখনও শুনিনি'।


ফিরহাদ হাকিম ফেসবুকে লিখেছেন,'বাংলায় জন্মেছি বাংলায় বড়ো হয়েছি এবং ছোটবেলা থেকে শুনছি জয় মা দূর্গা....জয় মা কালী .....এমনকি জয় বাবা তারকনাথ| কিন্তু কখনও শুনিনি কেউ চেঁচিয়ে বলছে জয় শ্রী রাম তাই অদ্ভুত লাগছে কারণ জয় শ্রী রাম শুনতে তো অভ্যস্ত নই'।



'জয় শ্রী রাম' মোকাবিলায় কর্মীদের বন্দে মাতরম ও জয় হিন্দ বলতে নির্দেশিকা জারি করেছে তৃণমূল। এমনকি কলারটিউনেও বাংলার জয়ধ্বনি রাখতে বলা হয়েছে। ফোনলাপের সম্ভাষণে 'জয় বাংলা' বলে শুরু করতে নির্দেশ দিয়েছে তৃণমূল।




গতকাল ভাটপাড়ায় মমতার কনভয়ের সামনে ওঠে 'জয় শ্রী রাম' ধ্বনি। গাড়ি নেমে রাস্তায় পাইচারি করতে করতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন,''সব বন্ধ করে দেব। এত বড় সাহস। আমাদের খাবে, আমাদের পড়বে। গুন্ডামি মস্তানি হবে না। বেঁচে আছো আমাদের জন্য। চামড়া গুটিয়ে ছেড়ে দেবে। নাম নিয়েও নাও নাকা চেকিং হবে। তুমি তোমার মতো স্লোগান দাও। এত বড় সাহস। বাংলাকে গুজরাট বানাতে দেব না। বাংলা বাংলা থাকবে। বন্ধ করে দিলে বুঝে যাবে সব''। 



তার আগেও জয় শ্রী রাম ধ্বনি শোনেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গাড়ি থেকে বেরিয়ে বলেছেন,'ব্যাটা বিজেপির বাচ্চা। ডাকাত। ক্রিমিনাল। সব কটাকে তাড়িয়ে ছাড়ব। অ্যাই.. যার খাবে তার... বাঙালিদের মারবে'। 



লোকসভা ভোটের মাঝে চন্দ্রকোনায় মুখ্যমন্ত্রীর কনভয়ের সামনে 'জয় শ্রী রাম' ধ্বনি দিয়েছিলেন কয়েকজন যুবক। সেবার গাড়ি থেকে নেমে মমতা বলেছিলেন, 'অ্যাই গালাগালি দিচ্ছিস'। তিন যুবককে আটক করে পুলিস। বিষয়টি নির্বাচনী প্রচারে হাতিয়ার করে বিজেপি। সেই থেকে রামনাম নিয়ে লঙ্কাকাণ্ড বাঁধে রাজ্যে।


আরও পড়ুন- প্রথম দিনেই দেশের কৃষকদের ৩টি বাম্পার উপহার মোদী সরকারের