কলকাতা: অটো-বাস বন্ধ। বাজারে তালা। মদন মিত্রের গ্রেফতারের প্রতিবাদে আজ দিনভর তৃণমূল কর্মীদের বেনজির দাদাগিরির সাক্ষী রইলেন রাজ্যের মানুষ। বিরোধীদের অভিযোগ, গোটাটাই ঘটল মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

রাজ্যজুড়ে বেনজির এই বিশৃঙ্খলার এপিসেন্টার ছিল  আলিপুর কোর্টচত্বরের ঠিক বাইরে বেলভেডিয়ার রোড। সকাল থেকেই যে রাস্তা চলে গিয়েছিল তৃণমূল সমর্থকদের দখলে।  


এমনটা যে ঘটবে তার ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছিল শুক্রবার সন্ধেয়। নবান্নে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী যখন সম্মুখ সমরে যাওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন। শনিবার আরও একবার বললেন সেই কথা।


সকাল থেকে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে মাঠে নেমে পড়েন তৃণমূল কর্মী সর্থকরা।  হাওড়ায় কোনা এক্সপ্রেসওয়ে অবরোধে আটকে পড়ে অ্যাম্বুল্যান্স। বারাসতে একাধিক জায়গায় হয় বিক্ষোভ । আসানসোলে জিটি রোডে প্রধানমন্ত্রীর কুশপুতুল পোড়ানো হয়। পথ অবরোধ হয় গোঘাটের খাটুলেও। তৃণমূলের বিক্ষোভে দীর্ঘক্ষণ আটকে ছিল আরামবাগ-বাঁকুড়া রোড।


একই ছবি ছিল  আলিপুর কোর্ট চত্বরে। সকাল থেকেই আদালতে  ভিড় জমাতে শুরু করেছিলেন তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা। বেলা বাড়ার সঙ্গে তা বদলে যায় জনস্রোতে। ভিড়ে চাপে একসময়ে বেলভেডিয়ার রোডে যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। বন্ধ করে দেওয়া হয় ইনগেট।


বেলা প্রায় তিনটেয় CGO কমপ্লেক্স থেকে  আলিপুর কোর্টে নিয়ে আসা হয় মদন মিত্রকে।  মন্ত্রীমশাইয়ের গাড়ি আদালত চত্বরে ঢুকতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন তৃণমূল কর্মীরা। সমর্থকদের চাপে ভেঙে পড়ে পুলিসের তিনটি  ব্যারিকেড। মুহুর্তে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় আদালত চত্বর।


বেলভেডিয়ার রোডে যখন তাণ্ডব চালাচ্ছেন তৃণমূল সমর্থকরা,কয়েক  কিলোমিটার দূরে ধর্মতলায়  তখন তাদের ভূমিকাকেই কার্যত সমর্থন করছেন মুখ্যমন্ত্রী।
 
মুখ্যমন্ত্রীর ভূমিকায় ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন বিরোধীরা।


মদন মিত্রর গ্রেফতার ঘিরে শনিবার বেনজির বিশৃঙ্খলার সাক্ষী রইলেন এরাজ্যের মানুষ। ঠিক যেমনটা ঘটেছিল তামিলনাড়ুতে, দুর্নীতির দায়ে জয়ললিতার জেলে যাওয়ার দিন। পার্থক্য শুধু সেদিন  জয়ললিতা ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। আর শনিবার এরাজ্যে শাসকদলের কর্মীরা তাণ্ডব চালালেন কার্যত মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশেই।