Tapas Chatterjee: তাপসে ক্ষুদ্ধ মমতা; `আপনার মতো কাজ করুন`, বিধায়ককে বার্তা তৃণমূলের
ইকো পার্কে বিজয়া সম্মিলনীতে আমন্ত্রণ না পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন রাজারহাট-নিউটাউনের বিধায়ক তাপস চট্টোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, ঘনিষ্ঠমহলে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, `বিজয়া সম্মিলনীতে জেলার অনেক মন্ত্রী ও নেতাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। তাঁরা কেউ প্রশ্ন তোলেননি। সরকারি অনুষ্ঠানে কাকে ডাকা হবে, তা নিয়ে কেন প্রশ্ন তুলছেন তাপস`?
শ্রেয়সী গঙ্গোপাধ্যায়: 'আপনার মতো কাজ করুন। দলে কোনও সমস্যা হলে মেটানোর চেষ্টা করা হবে'। মুখ্য়মন্ত্রী ক্ষোভ প্রকাশ করার পর, বিধায়ক তাপস চট্টোপাধ্যায়কে বার্তা দিল তৃণমূল। শুধু তাই নয়, রাজারহাট-নিউটাউনের বিধায়কের সঙ্গে কথাও বলেছে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। সূত্রের খবর তেমনই।
একসময়ে রাজারহাট-নিউটাউন এলাকার দাপুটে সিপিএম নেতা ছিলেন। ২০১৫ সালে তৃণমূলে যোগ দেন তাপস চট্টোপাধ্যায়। একুশে বিধানসভা ভোটে রাজারহাট-নিউটাউন কেন্দ্র থেকে জিতেছেন ঘাসফুল প্রতীকে। কিন্তু ইকো পার্কে রাজ্য সরকারেj বিজয়া সম্মিলনীতে আমন্ত্রণ পাননি! কেন? তৃণমূল বিধায়ক বলেন, 'দলে আমার কোনও স্টেটাস নেই। ২ বছর ধরে বিজয়া সম্মিলনীতে ডাকা হয় না। দলে একটা চাকরশ্রেণি আর আরেকটা বাবুশ্রেণি। দলে আমার স্টেটাসটা চাকরশ্রেণির'। তাঁর আক্ষেপ,'যাঁরা ২০২১-এ সাম্প্রদায়িকতাকে সমর্থন করেছিলেন। দিদিকে বেগম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন। তাঁরা নানান কারণে স্থান পেয়ে যান। স্থান পান না আমার মত লোকেরা'।
বিধায়ক তাপস চট্টোপাধ্যায়ের উপর রীতিমতো ক্ষুদ্ধ মুখ্যমন্ত্রী। সূত্রের খবর, ঘনিষ্ঠমহলে তিনি বলেছেন, 'বিজয়া সম্মিলনীতে জেলার অনেক মন্ত্রী ও নেতাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। তাঁরা কেউ প্রশ্ন তোলেননি। সরকারি অনুষ্ঠানে কাকে ডাকা হবে, তা নিয়ে কেন প্রশ্ন তুলছেন তাপস'? রাজারহাট-নিউটাউনের বিধায়কের সঙ্গে এবার কথা বলল তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব।
এদিকে ইকো পার্কের পর, গতকাল সোমবার বিজয়া সম্মিলনী হল ভবানীপুরের উত্তীর্ণ স্টেডিয়ামে। মুখ্যমন্ত্রী বললেন, 'ধর্ম যার যার, উৎসব সবার। দুর্গাপুজো খুব ভালোভাবে কাটিয়েছি। কালীপুজোও ভাল করে করতে হবে। কালীপুজোয় বাজি নিয়ন্ত্রণ করতে হবে'। সঙ্গে গেরুয়াশিবিরকে হুঁশিয়ারি, 'গান্ধীজিকে অসুর বানিয়ে দিলেন? ৪টি ডান্ডা নিয়ে গেলেই কি ভাবেন তৃণমূল উঠে যাবে? অত সহজ নয়, তৃণমূল জোড়া ফুল, সবাই কুল কুল। মানুষ জবাব দেবে'।
এর আগে, ইকো পার্কে বিজয়া সম্মিলনীতে আদানি গোষ্ঠীর চেয়ারম্যান গৌতম আদানির ছেলে কিরণের হাতে তাজপুরে সমুদ্র বন্দর তৈরির অনুমতিপত্র তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী। ছিলেন রাজ্যের শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী শশীর পাঁজা ও বিশিষ্টজনেরা।