আজ `সাহসিনীর` অস্ত্রোপচার, আনন্দপুর কাণ্ডে সিসিটিভি ফুটেজ থেকে উদ্ধার গাড়ির নম্বর, অধরা অভিযুক্ত
এখনও অধরা মূল অভিযুক্ত।
নিজস্ব প্রতিবেদন: তদন্ত যত এগোচ্ছে আরও প্রকট হচ্ছে মায়াবী শহরের রাতের ভয়াবহতা। যে শহরকে মহিলাদের সবচেয়ে নিরাপদ স্থান বলে মনে করা হয়, সেই শহরের আক্রান্ত হলেন দুই মহিলা। একজন যৌন হেনস্থায় শিকার। আর এক জন তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে নির্মমভাবে আহত। তদন্তে নেমেছে পুলিস। বেশ কিছু সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। তবে, এখনও অধরা মূল অভিযুক্ত।
নির্যাতিতার বয়ান অনুযায়ী পুলিস জানাচ্ছে, শনিবার রাত ৮টা নাগাদ নয়াবাদের ফ্ল্য়াটের সামনে থেকে হন্ডা সিটি করে তরুণীকে ঘুরতে নিয়ে যায় অমিতাভ বসু নামে ওই অভিযুক্ত। প্রথমে যান পাঁটুলির একটি রেস্তোরাঁয়। সেখানে খাওয়া-দাওয়া সেরে বাইপাসের আশপাশে ঘোরাঘুরি করেন তাঁরা। তারপর অজয়নগর, গড়িয়া, কালিকাপুর হয়ে আনন্দনগর। ওই এলাকার আর আর প্লটের একটি আবাসনের সামনে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
তরুণী জানিয়েছেন, অভিযুক্তকে নয়াবাদে বাড়িতে ছাড়ার জন্য বললে চৌবাঘার দিকে গাড়ি নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে সে। বাধা দিতে গেলে চলন্ত গাড়িতেই মারধর করা হয় তরুণীকে। মাঝেমধ্যে নিচুস্বরে কারোর সঙ্গে ব্লুটুথে কথা বলছিল অমিতাভ।
ঘটনার সত্য়তা যাচাই করতে পাঁটুলির রেস্তোরাঁয় মহিলাকে নিয়ে যায় পুলিস। সেখানকার সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে ম্যানেজারকে । বাইপাসে যে সব সিগন্যালে গাড়িটি দাঁড়িয়েছিল, সেখানকার সিসিটিভি ফুটেজও সংগ্রহ করা হয়েছে। সিসিটিভি ফুটজে থেকে গাড়ির নম্বর উদ্ধার হয়েছে বলে জানা যায়।
অন্যদিকে, নির্যাতিতাকে উদ্ধার করতে গিয়ে 'সাহসিনী' নীলাঞ্জনা চট্টোপাধ্যায় গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি। জানা গিয়েছে, বাঁ পায়ের হাঁটুর পিছনের হাড় ভেঙে গিয়েছে। গুরুতর চোট লেগেছে মাথাতেও। আজ অস্ত্রোপচার হওয়ার কথা। তাঁর কোভিড রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে বলে খবর। পুলিস জানায়, এ দিন রাতে একটি অনুষ্ঠান সেরে বাড়ি ফিরছিলেন নীলাঞ্জনা ও তাঁর স্বামী দীপ শতপথী। আনন্দপুরের একটি আবাসনের সামনে গাড়িতেই তরুণীকে হেনস্থা করছিল অমিতাভ। কোনও কিছুর ভ্রুক্ষেপ না করে ওই তরুণীকে উদ্ধার করতে এগিয়ে যান নীলাঞ্জনা। তখনই গাড়ি নিয়ে চম্পট দেওয়ার সময় নীলাঞ্জনাকে ধাক্কা মারে অভিযুক্ত। নীলাঞ্জনার স্বামী জানাচ্ছেন, পায়ের ওপর দিয়ে গাড়িটি চলে যায়। মাথার উপর দিয়ে গেলে সব শেষ হয়ে যেত।
আরও পড়ুন: তিলজলায় বাড়ির ভিতরে মিলল গৃহবধূর গলা কাটা দেহ, ধৃত স্বামী