নিজস্ব প্রতিবেদন : ডিওয়াইএফআই-এর রেল রোকোর মধ্যেই দুর্ঘটনা। ট্রেনের ধাক্কায় গুরুতর জখম হলেন চার অবরোধকারী। আর তা ঘিরে ধুন্ধুমার বাঁধল যাদবপুর স্টেশনে। ডিওয়াইএফআই কর্মীদের চাপে ঘটনার দায় স্বীকার করে মুচলেকা দিতে বাধ্য হলেন বুকিং সুপারিনটেনডেন্ট। তারপরই ওঠে অবরোধ। দীর্ঘক্ষণ পর স্বাভাবিক হয় ট্রেন চলাচল।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ঘড়িতে বেলা সাড়ে এগারোটা। যাদবপুর স্টেশনের রেল লাইনে বসে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন ডিওয়াইএফআই কর্মীরা। আচমকাই চলতে শুরু করে ডাউন সোনারপুর লোকাল। কোনওরকমে লাইন থেকে ছিটকে প্রাণে বাঁচেন অবরোধকারীরা। ট্রেনের ধাক্কায় আহত হন ঝর্ণা নন্দী,ভাস্বতী গাঙ্গুলি, আরতি ব্যানার্জি ও উজ্জ্বলা সর্দার। তাঁদের হাতে, বুকে ও মাথায় আঘাত লাগে। দুর্ঘটনার পরই তড়িঘড়ি তাঁদের নিকটবর্তী কেপিসি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।


এই ঘটনায় বিক্ষোভকারীদের ক্ষোভের আগুনে ঘি পড়ে। নতুন করে রেললাইনে বসে পড়েন বিক্ষোভকারীরা। ফের শুরু হয় বিক্ষোভ। এরপরই বুকিং সুপারিটেন্ডেন্ট বিজলি বসুর ঘরে চড়াও হন বিক্ষোভকারীরা। ততক্ষণে যাদবপুর স্টেশনে পৌঁছে যান অন্যান্য বাম নেতারাও। সুপারিনটেডেন্টের কাছে ট্রেন ও চালকের নাম জানানোর দাবি জানান তাঁরা।


আরও পড়ুন, রাজ্যজুড়ে রেল অবরোধে ভোগান্তি, সিউড়িতে ধুন্ধুমার


প্রবল বিক্ষোভের মুখে  চালকের নাম জানাতে না পারলেও, ট্রেনের নম্বর জানান সুপারিনটেন্ডেন্ট। সোনারপুর লোকালের চালকের বিরুদ্ধে যাদবপুর জিআরপি-তে দায়ের হয় এফআইআর। কিন্তু তারপরও রোষ কমেনি বিক্ষোভকারীদের। দাবি করা হয়, তাঁর গাফিলতিতেই যে দুর্ঘটনা তা লিখিত দিতে হবে বুকিং সুপারিনটেন্ডেন্ট কে। প্রবল চাপের মুখে দায় স্বীকার করে মুচলেকা দিয়ে ছাড় পান বুকিং সুপারিনটেন্ডেন্ট।