ওয়েব ডেস্ক : নারদকাণ্ড নিয়ে এবার হাইকোর্টের রায়কেই সরাসরি চ্যালেঞ্জ। সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। আজ নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে সাফ ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তিনি বলেন, এই ঘটনায় রাজ্য পুলিস তদন্তের দায়িত্বে ছিল। কিন্তু তাদের তদন্ত করতেই দেওয়া হল না। তার আগেই তদন্তভার তুলে দেওয়া হল CBI-এর হাতে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

প্রসঙ্গত, আজ নারদকাণ্ডে রায় ঘোষণা করে কলকাতা হাইকোর্ট। মুখ্য বিচারপতি নিশীথা মাত্রে এই বিষয়ে রাজ্য সরকার ও পুলিসের গড়িমসির মনোভাবকে তীব্র ভর্ত্‍সনা করেন। সেইসঙ্গে নারদকাণ্ডের তদন্তভার রাজ্য পুলিসের হাত থেকে সরিয়ে CBI-এর হাতে তুলে দেন। কলকাতা হাইকোর্টের এই রায়ে খুশি নারদা নিউজের সিইও তথা এই স্টিং অপারেশনের মূল কাণ্ডারি সাংবাদিক ম্যাথু স্যামুয়েলস। তিনি বলেন, ''এক বছর পর স্বচ্ছ তদন্ত শুরু হচ্ছে। আমি চাই যারা মূল অভিযুক্ত তাদের শাস্তি হোক। আমার বিরুদ্ধেও অনেক চক্রান্ত হয়েছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সব কিছুর সত্যতা সামনে আসবে।"


আরও পড়ুন- ভিডিও বিকৃত নয়, নারদকাণ্ডে সিবিআই তদন্তের রায় কলকাতা হাইকোর্টের


এদিকে, গোটা বিষয়টির পিছনে BJP-র প্রভাব রয়েছে বলে দাবি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তাঁর বক্তব্য, প্রভাব খাটিয়ে এই তদন্ত রাজ্য পুলিসের হাত থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হল। হাইকোর্টের এই রায়ের বিরুদ্ধে এবার তাঁরা সুপ্রিম কোর্টে পাল্টা মামলা লড়বেন বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি। অভিযোগ করেন, উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড সহ ৫ রাজ্যে নির্বাচনের আগে BJP-এর রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছিলেন, "নির্বাচনের পরই নারদ তদন্তের দায়িত্বভার যাবে CBI-এর হাতে।" দিলীপ ঘোষের সেই বক্তব্যের প্রসঙ্গ তুলে মমতা প্রশ্ন বলেন, ''কী করে একটি রাজনৈতিক দলের রাজ্য সভাপতির আগাম বার্তা আর আদালতের রায় মিলে যায়। এর থেকেই সব বিষয় পরিষ্কার।''


মমতার বক্তব্য, "নির্বাচনের সময় ১ থেকে ২ লাখ টাকা পর্যন্ত রাজনৈতিক দলগুলি ডোনেশন নিতে পারেন বলে নির্বাচন কমিশনের তরফেই জানানো রয়েছে।" যদিও, নারদা তদন্তে নাম ওঠা তৃণমূল কংগ্রেসের মন্ত্রী-নেতারা আদৌ সেই টাকা নিয়েছেন কি না তা খোলসা করে নিজের বক্তব্যে বলেননি তিনি।


আরও পড়ুন- 'স্বচ্ছ তদন্ত শুরু হল, এবার বিচার পাব', নারদকাণ্ডে আদালতের রায়ে প্রতিক্রিয়া ম্যাথু স্যামুয়েলসের