WATCH | New Drug in Kolkata: চোখের নিমেষেই এসে পৌঁছাবে ইউক্রেনের ড্রাগ! এক ক্লিকেই দুর্লভ মাদক কলকাতায়...
WATCH | New Drug in Kolkata: ৮ থেকে ৮০ সকলেই বর্তমানে স্মার্টফোন ব্যবহার করে থাকেন। আর বর্তমান প্রজন্মের কাছে ডেটিং অ্যাপগুলি খুব পরিচিত একটি প্লাটফর্ম। ফলে ইউক্রেনের এই মারণ ড্রাগ খুব সহজেই ছড়িয়ে পড়ছে ২০-৩০ বছর বয়সীদের মধ্যে। এই মাদক ব্যবহারকারী জানান, `সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে আমার কিছু নতুন বন্ধু হয়।
মৌমিতা চক্রবর্তী: শহরে পার্টি ড্রাগ চক্রের শিকর অনেক গভীর পর্যন্ত ছড়িয়ে। এই চক্রের মাস্টার মাইন্ডরা বসে আছেন কোথাও দুবাইয়ে, তো অন্য কোন আশেপাশের দেশে। বহুবার এমন ড্রাগ চক্রের রহস্যভেদ করতে সক্ষম হয়েছে গোয়েন্দা বিভাগ। কিন্তু খাস কলকাতায় ফের মাথা চারা দিয়েছে বিদেশি ড্রাগের রমরমা বাজার। হাইক্লাস পার্টিগুলিতে মিলছে এই নতুন ড্রাগ। ফের সঙ্কটে যুব সমাজ।
তদন্তে নেমেছে গোয়েন্দা বিভাগ। প্রাথমিকভাবে উঠে এসেছে ফের কলকাতায় এসেছে বিদেশের মারণ ড্রাগ । কিন্তু এবার এই জাল ছড়িয়ে কতদূর? কে বা কারা জড়িয়ে ? উঠছে নানান প্রশ্ন। প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে সুদূর ইউক্রেন থেকে আসছে এই ড্রাগ। কিন্তু কীভাবে? গোয়েন্দাদের মতে, এক ক্লিকেই মিলছে এই মারণ ড্রাগ। অর্ডার করার জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে 'ডেটিং' অ্যাপের। সেখানেই ব্যবহার করা হচ্ছে কিছু বিশেষ মোবাইলের সাঙ্কেতিক শব্দ বা 'ইমোজি'। অর্থাৎ গ্রাহককে সেই বিশেষ ইমোজি পাঠানো হয়, পাল্টা সঙ্কেত পেলেই 'ডার্কওয়েবের' মাধ্যমে অর্ডার করা হয়।
৮ থেকে ৮০ সকলেই বর্তমানে স্মার্টফোন ব্যবহার করে থাকেন। আর বর্তমান প্রজন্মের কাছে ডেটিং অ্যাপগুলি খুব পরিচিত একটি প্লাটফর্ম। ফলে ইউক্রেনের এই মারণ ড্রাগ খুব সহজেই ছড়িয়ে পড়ছে ২০-৩০ বছর বয়সীদের মধ্যে। এই মাদক ব্যবহারকারী জানান, 'সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে আমার কিছু নতুন বন্ধু হয়। তাঁদের সঙ্গে থাকতে থাকতেই আমাকে একটা নতুন গ্রুপের মানুষের সঙ্গে পরিচয় করানো হয়। যারা এই মাদক গ্রুপের সঙ্গে জড়িয়ে। এইভাবে আমিও জুড়ে যায়।'
গোয়েন্দাদের মতে, অত্যন্ত মর্ডান পদ্ধতিতে চলছে এই পাচার চক্র। কারণ কে কখন ডেটিং অ্যাপে জয়েন করবেন এবং কীভাবে অর্ডার দিচ্ছেন সেই বিষয়টা ট্র্যাক করা কিছুটা হলেও কঠিন। কিন্তু ইতিমধ্যেই পুলিস এই ড্রাগের সঙ্গে জড়িয়ে থাকা গ্রুপগুলির চিহ্নিতকরণের কাজ শুরু করেছে। এই ড্রাগ একেবারে কলকাতায় পৌঁছানো হচ্ছে মুম্বই, দিল্লি হয়ে। ফলে কে বা কারা জড়িত সেই খোঁজেও পুলিস। এই ড্রাগে আসক্তকারীদের মতে, একবার ড্রাগ নেওয়ার পর তিন-চারদিন ঘুম আসে না। নেশার মধ্যে থাকা সত্ত্বেও কাজ করতে কোনরকমের সমস্যা হত না। যেহেতু এক গ্রামের দাম বেশ অনেকটা, ফলে একমাত্র হাইপ্রোফাইল মানুষরাই কিনছেন।