মৈত্রেয়ী ভট্টাচার্য: রাজ্য-রাজভবন টানাপোড়েনের মধ্যেই অপসারিত রাজ্যে স্বাস্থ্যবিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুহৃতা পাল। যুক্তি ইউজিসির নিয়ম মেনে নযোগ হয়নি। সেই অপসারণের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্ট মামলা করেছেন সুহৃতা পাল। মামলায় পার্টি করা হয়েছে রাজ্যপাল, স্বাস্থ্যসচিব, বিশেষ সচিবকে।  সোমবার সেই মামলার শুনানি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-কেন্দ্রে কুস্তি, পঞ্চায়েতে দোস্তি? বিজেপিকে বোর্ড গড়তে সমর্থন তৃণমূলের!


অপসারণ নিয়ে সুহৃতা পাল প্রকাশ্যে কিছু বলতে চাননি। তবে তিনি তাঁর ঘনিষ্ঠ মহলে বলেছেন যথাযত সার্চ কমিটির মাধ্যামেই তাঁর নিয়োগ হয়েছিল। তাঁর দশ বছরের প্রফেসরশিপ নিয়ে যেসব প্রশ্ন উঠছে তা ঠিক নয়। তাঁর দাবি-


* ইউজিসি-র নিয়ম অনুযায়ী ১০ বছরের প্রফেসরশিপ তাঁর নেই- এ কথা মিথ্যা। ২০১১ সালের ২৮ জানুয়ারি তিনি প্রফেসর হন। তারপর এমএসভিপি এবং প্রিন্সিপ্যাল হিসেবে প্রশাসনিক পদের দায়িত্বও সামলেছেন।


* ভিসি হিসেবে তাঁর নিয়োগ রাজভবন থেকেই হয়েছিল, ভিসি নিয়োগের নোটিস দেখে তিনি আবেদন করেছিলেন।  সার্চ কমিটির মাথায় ছিলেন রাজ্যপাল মনোনিত প্রার্থী সুশান্ত বন্দ্যোপাধ্যায়, যিনি আগে ডিএমই ছিলেন। কমিটিতে দুজন বিধায়ক ছিলেন- ব্রাত্য বসু এবং নির্মল মাঝি। স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম ছাড়াও ছিলেন আরও এক স্বাস্থ্যদপ্তরের সচিব। আর ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার। তিনজনের নাম বাছাই করে সার্চ কমিটি থেকে পাঠানো হয়- এবং সেখান থেকে তাঁকে বাছাই করা হয়। এ ক্ষেত্রে দাঁড়িয়ে তাঁর নিয়োগে কোনও সমস্যা হলে তার দায় কার? প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।


* বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশ্নপত্র বেরিয়ে যাওয়া প্রসঙ্গে তাঁর বক্তব্য- একবার প্রশ্ন তৈরি হয়ে যাওয়ার পর তা এনক্রিপটেড হয়ে যায়, যা পরীক্ষার মাত্র কিছুক্ষণ আগে নির্দিষ্ট ওটিপি দিয়েই খোলা সম্ভব। ফলে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রশ্ন বেরিয়ে যাওয়ার কোনও সম্ভাবনাই নেই- দাবি তাঁর


* পরীক্ষায় অনিয়মের যে সমস্ত বিষয় প্রকাশ্যে আসছে, সেই সংক্রান্ত একটিও লিখিত অভিযোগ পাননি তিনি। এমনকি যাঁরা পরীক্ষা নিয়েছেন, তাঁরা টুকলি পেয়েছেন বলে জানা গেলেও কোন ছাত্র টুকলি করেছেন তা লিখিতভাবে জানানো বা তাঁর খাতা সিজ করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে দেওয়া— কোনওটাই কোনও মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষের তরফে বা এগজামিনারদের তরফে করা হয়নি।


* উল্টে বিশ্ববিদ্যালয় একাধিক সদর্থক পদক্ষেপ করেছে। যেমন- ২০০টিরও বেশি মেন্টাল হেলথ ওয়ার্কশপ, টেকনোলজি আর ডাক্তারির মেলবন্ধনে “হ্যাক ও মেড”, মেধাবী পড়ুয়াদের স্কলারশিপ দেওয়ার ব্যবস্থা ইত্যাদি করা হয়েছে।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)