নিজস্ব প্রতিবেদন: কলকাতার এক্সাইড মোড়ে বাইকবাহিনীর তাণ্ডব। ভয়ঙ্কর এক অভিজ্ঞতার সাক্ষী থাকলেন প্রাক্তন মিস ইন্ডিয়া ইউনিভার্স ঊষসী সেনগুপ্ত। কিন্তু ততটা আশ্চর্য পুলিসের ভূমিকা নিয়ে। জি ২৪ ঘণ্টায় ঊষসী দাবি করলেন, এফআইআর নিতে গড়মসি করেছে পুলিস। এমনকি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাঁর পোস্টটি ভাইরাল হওয়ার পর অভিযুক্তদের গ্রেফতার করেছে চারুমার্কেট থানা। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ঊষসী নিজের ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, এক্সাইড মোড়ে যখন তাঁর গাড়ির উপরে হামলা করছে দুষ্কৃতীরা, তখন পাশে ময়দান থানার দ্বারস্থ হন তিনি। কিন্তু ময়দান থানার অফিসার তাঁকে পরামর্শ দেন, এটা ভবানীপুর থানার অধীনে। কিন্তু করজোড়ে মিনতি করার পর এগিয়ে আসেন ওই অফিসার। তিনি ঘটনাস্থলে পৌঁছতে তাঁকে ধাক্কা দিয়ে পালায় জনা ১৫ যুবক। এরপর লেকগার্ডেনসে ফের ওই যুবকরা ঘিরে ধরে ঊষসীকে। তখন চারুমার্কেট থানায় যান তিনি। কিন্তু রাতে থানায় কোনও মহিলা অফিসার ছিলেন না। এমনকি এফআইআর নিতেও অস্বীকার করা হয় বলে অভিযোগ ঊষসীর। তবে তাঁর নাছোড় মনোভাব দেখে এফআইআর নিতে বাধ্য হয় থানা।


জি ২৪ ঘণ্টায় ঊষসী প্রশ্ন তুলেছেন, সাধারণত থানায় মহিলা পুলিস না থাকলে রাতে বাড়ি এসে এফআইআর নেওয়া হয়। কিন্তু সেটা করা হয়নি। এমনকি একশো মিটার দূরের ঘটনাতেও পুলিস অন্য থানা এলাকা দেখিয়ে কীভাবে এড়িয়ে যেতে পারে? 



রাতের কলকাতায় নিজের অভিজ্ঞতার কথা ফেসবুকে লেখেন ঊষসী। এরপরই পোস্টটি ছড়িয়ে দেন নেটিজেনরা। প্রাক্তন মিস ইন্ডিয়া ইউনিভার্সের দাবি, পোস্টটি ভাইরাল হওয়ার পর ব্যবস্থা নিয়েছে পুলিস। দুপুর আড়াইটের পর পুলিস অফিসার এসে আশ্বস্ত করে যান তাঁকে। একইসঙ্গে ঊষসীর প্রশ্ন, তাঁর সঙ্গে এমনটা ঘটলে আর পাঁচটা সাধারণ মানুষের কী অবস্থা হবে? ঠিক কী হয়েছিল ঊষসীর সঙ্গে? বিস্তারিত জানতে পড়ুন রাতের কলকাতায় বিভীষিকা, এক্সাইডে নিগৃহীত প্রাক্তন মিস ইন্ডিয়া ইউনিভার্স ঊষসী সেনগুপ্ত


ঘটনায় ৭ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। অভিযুক্তরা হল, শেখ রোহিত, ফরদিন খান, শেখ সাবির আলি, শেখ গনি, ইমরান আলি, শেখ ওয়াসিম ও শেখ আতিফ।