নিজস্ব প্রতিবেদন: সপ্তাহের নির্দিষ্ট দিনের বাইরে অতিরিক্ত আরও একদিন টিকাকরণ অভিযান (Vaccination) চলল রাজ্যে। ৩১টি কেন্দ্রে করোনার ভ্য়াকসিন নিলেন ২ হাজারেরও বেশি মানুষ। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, এদিন যাঁরা ভ্যাকসিন নিয়েছেন, তাঁদের কারও শরীরেই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি। টিকাকরণ কর্মসূচিতে নজরদারি কীভাবে আরও জোরদার করা যায়, তার রূপরেখা নিয়ে বিশেষজ্ঞ কমিটির সঙ্গে বৈঠক করলেন স্বাস্থ্যকর্তারা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

গোটা দেশের মতো শনিবার থেকে বাংলায় শুরু হয়ে গিয়েছে করোনার টিকাকরণ কর্মসূচি। সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, প্রথম দফায় এই ভ্যাকসিন দেওয়া হবে চিকিৎসক, নার্স-সহ স্বাস্থ্যকর্মীদেরই। কিন্তু ঘটনা হল, এ রাজ্যে প্রথম দিনেই টিকা নিয়েছেন তৃণমূলের ২ বিধায়ক, এমনকী প্রাক্তন বিধায়কও। তা নিয়ে বিতর্ক কিছু কম হয়নি। বস্তুত, স্বাস্থ্য় দফতরের পাঠানো টিকাপ্রাপকদের তালিকায় নাম ছিল আর এক তৃণমূল বিধায়ক সৌরভ চক্রবর্তীরও। তবে বিতর্কের মুখে শেষপর্যন্ত অবশ্য ভ্য়াকসিন আর নেননি তিনি।


আরও পড়ুন: Co-win অ্যাপের পাশাপাশি টিকাকরণ কেন্দ্রেও নাম নথিভুক্ত করা যাবে


জানা গিয়েছে, প্রতি সপ্তাহে সোম, মঙ্গল, শুক্র ও শনিবার রাজ্য়ের ২০৭টি কেন্দ্রে ভ্যাকসিন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। তাহলে বুধবার কেন এই টিকাকরণ? উল্লেখ্য, প্রথমদিন অর্থাৎ শনিবার টিকাকরণ অভিযান চলাকালীন বিকল হয়ে যায় Co-Win App। সেই সমস্য়া এখনও পুরোপুরি মেটেনি। কখনও ইন্টারনেট ধীর গতি, তো কখনও আচমকাই Co-Win App বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে বিপাকে পড়ছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। এই পরিস্থিতিতে গোটা ব্যবস্থাটি আরও একবার খতিয়ে দেখার জন্য় এদিন টিকাকরণ অভিযান চালানো হয়। তবে ২০৭ নয়, কেন্দ্রের সংখ্যা ছিল মাত্র ৩১টি। 


আরও পড়ুন: দ্বিতীয় দফায় ভ্যাকসিনের পরবর্তী ডোজ এল রাজ্যে


উল্লেখ্য, এক সপ্তাহের ব্য়বধানে দ্বিতীয় দফায় এদিন রাজ্যে এল করোনার ভ্য়াকসিন কোভিশিল্ড। স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, এই ভ্যাকসিন দ্বিতীয় ডোজ। এর আগে ১২ জানুয়ারি রাজ্যে এসেছিল প্রায় সাত লক্ষ টিকা। প্রায়  সম সংখ্যক ডোজের টিকা এল দ্বিতীয় দফাতেও। সংখ্যাটা ৬ লক্ষ ৯৯ হাজার।