নিজস্ব প্রতিবেদন: ইঙ্গিত মিলেছিল আগেই। আজ থেকে ১৪ বছরের বেশি বয়সীদের টিকাকরণ কর্মসূচি শুরু হচ্ছে না রাজ্যে। কেন? পর্যাপ্ত ভ্যাকসিনের জোগান নেই। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, দুই প্রস্তুতকারী সংস্থা কাছে টিকার ২ কোটি ডোজ চেয়ে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু সেই ভ্যাকসিন কবে আসবে, তা এখনই বলা যাচ্ছে না।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এক মাস আগেও পরিস্থিতি এমন ছিল না। তখন কারও আগ্রহ ছিল না বললেই চলে। আর এখন? করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের দাপটে ভ্যাকসিনের চাহিদা দ্বিগুণ। পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমশিম অবস্থা প্রশাসনের। জেলায় জেলায় সাধারণ মানুষের ভ্যাকসিন দুর্ভোগ চরমে। এবার থমকে গেল ১৮ বছরের বেশি বয়সীদের টিকাকরণ কর্মসূচিও।


আরও পড়ুন: দেরিতে অ্যাম্বুলেন্স, মেডিকেলের বাইরে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করোনা রোগীর, কাঠগড়ায় স্বাস্থ্যভবন


প্রথম দফায় ভ্যাকসিন পেয়েছেন চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী-সহ প্রথমসারির কোভিড যোদ্ধারা। দ্বিতীয় দফায় যখন প্রবীণ নাগরিকদের টিকা দেওয়ার কাজ চলছে, তখনই আবার ১৮ থেকে ৪৪ বছর বয়সীদের ভ্যাকসিন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। আজ থেকে রাজ্যে এই গণটিকাকরণ কর্মসূচি শুরু হওয়ার কথা ছিল।  স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, এ রাজ্য়ে ১৮ থেকে ৪৪ বছর বয়সী বিপুল সংখ্যক মানুষকে দেওয়ার মতো পর্যাপ্ত টিকার জোগান নেই। টিকা প্রস্তুতকারী সংস্থার কাছে ২ কোটি ডোজ চেয়ে পাঠানো হয়েছে। আগামী ৩ মাসের যতজনকে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে, সেই হিসেবে টিকা পাঠাবে তারা। প্রথম মাসে ১০ লাখ কোভিশিল্ড চলে আসারও সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু কবে? সেটা নিশ্চিত নয়। ফলে রাজ্যে আপাতত ১৮ বছরের বেশি বয়সীদের টিকাকরণ কর্মসূচি শুরু করা যাচ্ছে না।


আরও পড়ুন: বাজার-হাটে সরকার রাশ টানার পরই মদের দোকানের সামনে লাইন সুরাপ্রেমীদের


এর আগে শুক্রবার নবান্ন-র(Nabanna) তরফে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ১৮ থেকে ৪৪ বছর বয়সীদের জন্য ভ্যাকসিন রাজ্যে এসে পৌঁছয়নি। ওই ভ্যাকসিন চলে এলে তা দেওয়া শুরু হবে। অর্থাৎ এই টিকাকরণ কর্মসূচি নিয়ে অনিশ্চয়তা ছিলই।