নিজস্ব প্রতিবেদন: ১০ মে প্রকাশিত স্বাস্থ্য দফতরের হেল্থ বুলেটিন অনুযায়ী, ২৪ ঘণ্টায় কলকাতায় নতুন করে করোনায় আক্রান্ত ৩ হাজার ৯৪৮ জন। মৃত্যু হয়েছে ৩৪ জনের। এই অবস্থায় শহরজুড়ে করোনা টিকার দ্বিতীয় ডোজের জন্য় হাহাকার। শহরের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতাল, স্বাস্থ্য়কেন্দ্রগুলিতে লম্বা লাইন। অভিযোগ, অনেকক্ষেত্রে রাত থেকে লাইন দিয়েও মিলছে না টিকা। দিনের পর দিন হতাশ হয়ে ফিরতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: নেই অক্সিজেন, বিদ্য়াসাগর স্টেট জেনারেলে পরপর রোগী মৃত্য়ু


হাওড়ার শিবপুর থেকে এসএসকেএম (SSKM) হাসপাতালে টিকা নিতে এসেছিলেন এক ব্য়ক্তি। ভোর থেকে লাইন দেন। কিন্তু আজ আদৌ টিকা পাবেন কিনা, তা নিয়ে ধন্দে রয়েছেন। কেউ কেউ আবার রাত থেকে লাইন দিয়েছেন। এসএসকেএম সূত্রে খবর, প্রতিদিন ২০০ থেকে ৩০০ জনকে টিকা দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু লাইন পড়ছে প্রায় পাঁচশো থেকে ছশো জনের। ফলে অনেককেই টিকা না পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন। একই ছবি আর জি কর হাসরপাতালেও। সেখানেও কোরনা টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিতে প্রচুর মানুষের ভিড়। ভোর রাত থেকে লম্বা লাইন। অভিযোগ, কোভিশিল্ড থাকলেও, সেখানে পর্যাপ্ত পরিমাণে কোভ্য়াক্সিন নেই। ফলে কোভ্য়াক্সিন নিতে আসা মানুষজন নিরাশ হয়ে ফিরছেন। কেউ কেউ চারদিন ঘুরেও টিকা পাননি। বেহালার বিদ্য়াসাগর স্টেস জেলারেল হাসপাতালেও টিকা নিতে গিয়ে নাজেহাল সাধারণ মানুষ। হাসপাতাল সূত্রে খবর, দৈনিক ৮০ জনকে কোভ্য়াক্সিন এবং ১০০ থেকে ১২০ জনকে কোভিশিল্ড দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু টিকা নিতে ছয় শতাধিক মানুষের লাইন পড়ছে।  


আরও পড়ুন:  মেডিক্যাল কলেজের কার্নিশে রোগী, PPE কিট পরে উদ্ধারে দমকল কর্মী


স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, সোমবার রাজ্য়ে এসেছে আরও ৭ লক্ষ ৪৫ হাজার কোভিশিল্ড। যার মধ্য়ে প্রায় সাড়ে ৩ লক্ষ ডোজ টিকা কিনেছে রাজ্য় সরকার। কেন্দ্রের তরফে পাঠানো হয়েছে আরও ৩ লক্ষ ৯৫ হাজার ডোজ টিকা। রাজ্য়ের স্বাস্থ্য় অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তী জানান, বর্তমানে ৪৫ ঊর্ধ্বদের টিকাকরণ সম্পূর্ণ করাই রাজ্য়ের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ৪৫ ঊর্ধ্বদের টিকাকরণ শেষ হলে তবেই নিয়ম মতো ১৮ থেকে ৪৪ বছর বয়সীদের টিকা দেওয়ার কাজ শুরু করবে রাজ্য়। এই পরিস্থিতিতে ৪৫ ঊর্ধ্বদের দ্বিতীয় ডোজের টিকা দিতে গিয়েই যেভাবে হিমশিম খেতে হচ্ছে রাজ্য়েকে, এরপর ১৮ ঊর্ধ্বদের টিকাকরণ শুরু হলে পরিস্থিতি কী হবে, তা নিয়ে আশঙ্কা বাড়ছে।