নিজস্ব প্রতিবেদন: পচা মাংস কাণ্ডে বিস্ফোরক তথ্য। বিপজ্জনক রাসায়নিক দিয়ে প্রক্রিয়াকরণ করা হয় ভাগাড়ের মাংস। পচন রোধ থেকে স্বাদ বাড়াতে নানা ধরনের রাসায়নিক ব্যবহার করে কারবারিরা, পুলিসের জেরায় সে কথা স্বীকার করেছে তারা। আর এভাবেই রেস্তোরাঁর মাংসের মাধ্যমে আম আদমির শরীরে ঢুকে পড়ছে বিষাক্ত রাসায়নিক। পুলিসের অনুমান, পচা মাংসের কারবারের মূলচক্রী এই শহরেরই বাসিন্দা। তদন্তে নেমেছে রাজ্য পুলিসের এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চও।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কীভাবে পচা মাংসের প্রক্রিয়াকরণ হত?


ভাগাড় থেকে পচা মাংস চলে যায় গুদামে। সেখানেই ফরম্যালিন দিয়ে ধোয়া হত মাংস। এরপর আলাদা করা হয় চর্বি ও হাড়। পচন রুখতে মেশানো হয় ক্যালসিয়াম প্রোপিওনেট। আর দুর্গন্ধ ঠেকাতে ব্যবহার করা হয় লেড সালফেট। এখানেই শেষ নয়! পচা মাংসে টাটকার স্বাদ আনতে দেওয়া হয় অ্যালুমিনিয়াম সালফেট।


মাংসের বিপণনেও মুন্সিয়ানার ছাপ 


রাসায়নিক মেশানো পচা মাংসই চলে আসে বাজারে। কিন্তু, খোলাবাজারে নয়। কারবারিদের লক্ষ্য - ফ্রোজেন মার্কেট, ডিপার্টমেন্টাল স্টোর, হোটেল, রেস্তোরাঁ বা রাস্তার ধারে ধাবা। এইসব জায়গাগুলিতে পচা মাংস বিক্রি  করত কারবারিরা। ব্যবসার ফাঁদ বিস্তারে ছকও ছিল নিপুণ। হোটেল রেস্তোরাঁয় অবাধ চালানোর পাশাপাশি নামিদামি ব্র্যান্ডের নকল করে মাংস বাজারজাত করা হয়। এছাড়াও বেনামি ব্র্যান্ডের আড়ালেও চলত ব্যবসা।


ভাগাড় থেকে ঠান্ডাঘর পর্যন্ত চক্রের হদিশ পেয়েছে পুলিস। কলকাতা শহরেই লি রোড, ট্যাংরা, কসবা আর নারকেলডাঙায় চলছে লাগাতার তল্লাসি। দুই চব্বিশ পরগনা আর হাওড়াতেও অভিযান চালিয়েছে পুলিস। আর সেখান থেকেই পুলিসের অনুমান গোটা চক্রের কিংপিন রয়েছে কলকাতাতেই। তদন্তে নেমেছে কলকাতা পুলিসের এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ।


আরও পড়ুন- হাইকোর্টে ৩ অস্ত্রে শাসককে ঘায়েল করার কৌশল বিজেপির