`অঞ্জনের প্রয়াণে বাকরুদ্ধ, পার্থিব সব ব্যাপারে উৎসাহ হারিয়ে গিয়েছে`
`ভেবেছিলাম এই বুঝি মিছিল করে বেরিয়ে আসবে`
সুমন চট্টোপাধ্যায় (জি ২৪ ঘণ্টায় ফোনে প্রতিক্রিয়া) : আমি বাকরুদ্ধ। অনুজদের স্মৃতিচারণ করা অগ্রজদের পক্ষে এমনিতেই খুব মর্মান্তিক। আর সেই অনুজ যদি বড় কাছের মানুষ হন তাহলে কষ্টে বুক ফেটে যায়। অঞ্জন হাসপাতালে ভরতি হয়েছে শুনে বাকিদের থেকে ওঁর খবর নিয়েছি। কোভিড রোগী হওয়ায় সামনে যাওয়ার উপায় ছিল না। একটা সময় ভেবেছিলাম অঞ্জন বুঝি এই মিছিল করে বেরিয়ে আসবে। কিন্তু ভাবিনি ওঁর এমন অকাল মৃত্যু ঘটবে। কাল রাতে খবর পেয়ে চোখের পলক এক করতে পারিনি। একের পর এক সাংবাদিকের মৃত্যু। এসব দেখে আমার পার্থিব সব ব্যাপারেই উৎসাহ হারিয়ে গিয়েছে।
আরও পড়ুন: প্রয়াত অঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়, শোকপ্রকাশ রাজ্যপাল, মুখ্যমন্ত্রীর
অঞ্জনের আগে আমার পরিচয় ওঁর দাদা আলাপন বন্দোপাধ্যায়ের সঙ্গে। তখন নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনে ক্লাস ১২ এ পড়ত আলাপন। পরে অঞ্জনের সঙ্গে পরিচয়। দুজনেই প্রাণোচ্ছ্বল ছিল। সবসময় মুখে হাসি। সাবলীল বাংলা ভাষা রপ্ত করে সংবাদপত্র জগতে এসেছিল অঞ্জন। ওঁর লেখা কপির ক্ষেত্রে কোনোদিন এডিটের প্রয়োজন পড়েনি। অনেক সম্ভবনা ছিল। তাই আনন্দবাজার পত্রিকায় ওঁকে দিল্লি ব্যুরোতে বদলি করি।বয়সে ৮ বছর ছোট ছিল অঞ্জন। বয়সের ফারাক কোনোদিনই বোঝা যায়নি। ওঁর জীবনের বহু ঘাত-প্রতিঘাত আমি জানতাম। এভাবে চলে যাবে ভাবিনি।