নিজস্ব প্রতিবেদন: রাজ্য হিসাবে পশ্চিমবঙ্গ যে কঠিন ঠাঁই তা বিধানসভা উপ-নির্বাচনের হারেই টের পেয়েছে বিজেপি। আরএসএসের অন্য শাখাগুলির সাহায্য ছাড়া ভোট ময়দানে পর্যুদস্ত হতে হয়েছে তাদের। প্রমাদ গুনে তাই ফের একবার কোমর বেঁধে নামতে চলেছে আরএসএস। আর এবার তারা মাঠে নামাচ্ছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদকে। আগামী ১৩ ডিসেম্বর কলকাতায় অনুষ্ঠিত হতে চলেছে সন্ন্যাসীদের সমাবেশ। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের এক নেতা জানিয়েছেন, গোটা রাজ্যের সন্ন্যাসীরা হাজির থাকবেন সেই বৈঠকে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

পশ্চিমবঙ্গে ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে এগোচ্ছে বিজেপি। লোকসভা নির্বাচনে এরাজ্যে ১৮টা আসন জয়ের পর আত্মবিশ্বাসে ফুটছিল গেরুয়া ব্রিগেড। তাতে ধাক্কা লেগেছে সাম্প্রতিক বিধানসভা উপনির্বাচনের ফলে। কালিয়াগঞ্জ, করিমপুর ও খড়গপুর উপনির্বাচনে তিন জায়গাতেই হার হয়েছে বিজেপির। ফলে ফের মাঠে নামতে হচ্ছে আরএসএসকে। আর এবার রাজ্যের সমস্ত সাধু - সন্ন্যাসী- মোহন্তদের এক মঞ্চে আনতে চাইছে তারা। 


শীত অধিবেশনেই আনা হবে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল, সবুজ সংকেত দিয়ে দিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা


সুপ্রিম কোর্টের রায়ে ইতিমধ্যে পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে অযোধ্যায় রাম মন্দির তৈরির রাস্তা। বিশ্ব হিন্দু পরিষদ সূত্রের খবর, সেজন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে সমাবেশে ধন্যবাদ জানানো হবে। একই সঙ্গে ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিশ্রুতি পালনকারী সরকারকে ভোট দিতে অনুরোধ করতে আবেদন করা হবে সাধুদের কাছে। 


এক ভিএইচপি নেতা জানালেন, আমাদের দেশে সাধু-সন্তদের প্রচুর অনুগামী থাকে। পশ্চিমবঙ্গও তার ব্যতিক্রম নয়। আর গুরুর কথা অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলেন ভক্তরা। তাই সাধু - সন্ন্যাসীরা কোনও অনুরোধ করলে ফেলতে পারবে না তারা। 


রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, পশ্চিমবঙ্গে রাম মন্দির নিয়ে আবেগ গোবলয়ের মতো নয়। পশ্চিমবঙ্গের হিন্দুদের কাছে আরাধ্য দুর্গা, কালী, শিব ও কৃষ্ণ। রাম এরাজ্যে আরাধ্য নন। যদিও এরাজ্যে ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনে রাম মন্দিরের ফয়দা তুলতে চায় বিজেপি। আর তাই সাধু - সন্ন্যাসীদের ময়দানে নামিয়ে আবেগ উসকে দিতে চায় তারা।