নিজস্ব প্রতিবেদন: ডেপুটি সুপার বদলি হয়ে গিয়েছেন উত্তরবঙ্গ। শেষদিনে কোনও গুরুত্বপূর্ণ নথি সরিয়ে ফেললেন নাতো? হাসপাতাল ছাড়ার আগে তাঁর ব্য়াগে তল্লাশি করলেন খোদ সুপার তথা মেডিক্যাল কলেজে ভাইস প্রিন্সিপাল, স্রেফ সন্দেহের বশে! সমালোচনার ঝড় উঠেছে চিকিৎসকমহলে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কলকাতার আরজিকর মেডিক্য়াল কলেজ ও হাসপাতালে ডেপুটি সুপার পদে কর্মরত ছিলেন সুপ্রিয় চৌধুরী। সম্প্রতি আলিপুরদুয়ারের উপ মুখ্য স্বাস্থ্য় আধিকারিক পদে বদলি করা হয়েছে তাঁকে। এদিন যখন নিজের অফিসে ফাইল গোজানোর তোড়জোড় করছিলেন, তখন অভিযোগ ওঠে, হাসপাতাল থেকে নাকি চুপিসাড়ে ফাইল সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছে ওই স্বাস্থ্যকর্তা! সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হল, ঘরের সিসিটিভি ফুটেজও প্রকাশ্য়ে চলে আসে!


আরও পড়ুন: By-Poll: আগামী সপ্তাহে ৫ দিন কলকাতায় বন্ধ মদের দোকান ও বার


আরজিকর হাসপাতাল ও মেডিক্যাল কলেজে সদ্য প্রাক্তন ডেপুটি সুপারের দাবি, 'অধ্যক্ষ বলেন, আমি নাকি ফাইল নিয়ে যাচ্ছি। উপরওয়ালার নির্দেশে কিছু নিয়ে যেতে পারব না। আমি বলি, দীর্ঘ ৫ বছর কাজ করার সুবাদে নিজস্ব বেশ কয়েকটি নথি জমা রয়েছে। সেগুলিই নিয়ে যাচ্ছি। যাঁরা নির্দেশ দিয়েছেন, তাঁদের কথা বললে বিষয়টি পরিষ্কার করতেও চাই'। এরপর রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যানের হস্তক্ষেপে সমস্যা মিটেও যায়। তাহলে? সুপ্রিয় চৌধুরীর কথায়, 'সন্ধেবেলা ফের আমাকে আটকানো হয়। আমি বলি, যে কেউ আমার ব্যাগ সার্চ করে দেখতে পারেন। এমএসভিপি নিজে তল্লাশি করেছেন। আমি ছবি তুলে রেখেছি। আউটপোস্টের ওসিও ছিলেন'।


আরও পড়ুন: Cyclone Gulab: আগামী ৫ অক্টোবর পর্যন্ত সরকারি কর্মচারীদের ছুটি বাতিল, জেলাশাসকদের সতর্ক করল নবান্ন


আরজিকর মেডিক্যালে কলেজের অধ্যক্ষের অপসারণের দাবিতে আন্দোলনে নেমেছিলেন পড়ুয়ারা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষকের মতে, 'অধ্যক্ষ হয়তো ভেবেছিলেন, ডেপুটি সুপারে প্রছন্ন মদতেই এই ঘটেছে। সেকারণেই সম্ভবত বদলি হয়ে গেলেন তিনি। তবে, যেভাবে অদস্থ করা হল, তা সত্যি আবমাননাকর'। মুখ খুলতে চাননি অধ্যক্ষ।


(Zee 24 Ghanta App : দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)