ওয়েব ডেস্ক: সাড়ে বারোশো কোটির টাকার নিকাশি সংস্কার। তবু কেন জল জমে শহরে? এ নিয়ে প্রতিবারই একে অন্যের দিকে আঙুল তোলে পুরসভারই দুই দফতর। নিকাশি বিভাগ ও KEIP। দুই দফতরে সমন্বয় ফেরাতে এবার নির্দেশিকা জারি করল পুরসভা। একজন জন্মদাতা, অন্যজন পালনকর্তা। যৌথ অভিভাবকত্বে বয়ে চলে তিলোত্তমার নালা নর্দমা। নিকাশি ব্যবস্থার পরিকাঠামো তৈরি করে কলকাতা এনভায়র্নমেন্ট ইমপ্রুভমেন্ট প্রজেক্ট, সংক্ষেপে KEIP ২০০২-২০১৩ পর্যন্ত সময়কালে কলকাতায় ১২৫০ কোটি নিকাশি সংস্কার হয়। এশিয়ান ডেভলপমেন্ট ব্যাঙ্কের ঋণে এই পরিকাঠামো তৈরি করে KEIP। ভূগর্ভস্থ নালা, একুশটি পাম্পিং স্টেশন, তিনটি নিকাশি ট্রিটমেন্ট প্লান্ট তৈরি হয় ওই টাকায় । পরিকাঠামো তৈরির পর পুরসভার নিকাশি বিভাগের হাতে তা তুলে দেয় KEIP। এই পরিকাঠামোই রক্ষণাবেক্ষণ করতে গিয়ে মাথার চুল ছেঁড়ার জোগাড় নিকাশি বিভাগের কর্তাদের। গত বর্ষায় মাত্র কয়েক ঘণ্টার অতিবৃষ্টিতে জল থই থই  হয়ে যায় তিলোত্তমা। নতুন পাম্পিং স্টেশন তৈরির পরেও বেহালায় জল নামছিল না। অল্প বৃষ্টিতেই উপচে পড়ছিল দুই ও ছয় নম্বর ওয়ার্ডের নর্দমাগুলি । শিগগিরই সামনে এল দায়সারা কাজ ও অনিয়মের ভুরি ভুরি অভিযোগ।  


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন সল্টলেকের ডাকাতি কী খেলনা পিস্তল দিয়ে, উঠছে প্রশ্ন


কোথাও নালা তৈরির পরেও নির্মাণ পাঁচিল ভাঙা হয়নি। কোথাও নালার মধ্যেই রয়ে গেছে সিমেন্ট বস্তা, পাটাতন। নতুন নালার ভিতর থেকে বেরিয়েছে কম্বল, জামাকাপড়, প্লাস্টিকের মণ্ড। বহু টাকা খরচে কেনার পরেও কাজে লাগানো হয়নি  ম্যানহোল পরিষ্কারের তিরিশটি মেশিন। নিকাশির টাকা জলেই গেছে। গাফিলতি শুধরোতে খরচ চারশো কোটি টাকা। যদিও, এর দায় নিতে নারাজ KEIP। তার দুষছে নিকাশি বিভাগের রক্ষণাবেক্ষণের অভাবকেই। দুই দফতরে শুরু হয়েছে নতুন কাজিয়া। এই বিতর্ক মেটাতে এবার সচেষ্ট হল পুরসভা। দুই দফতরের সমন্বয়ের বার্তা দিয়ে জারি হয়েছে নতুন নির্দেশিকা। এশিয়ান ডেভলপমেন্ট ব্যাঙ্কের ঋণে আরও এক দফা নিকাশি সংস্কার শিগগিরই শুরু হবে । ৪ হাজার কোটি টাকার প্রকল্পের দায়িত্বে সেই KEIP।নতুন নির্দেশিকা অনুযায়ী প্রকল্প চলাকালীনই KEIP-র কাজের তদারকিতে থাকবেন নিকাশি বিভাগের প্রতিনিধি


আরও পড়ুন  সলমন এবং আমির খানকে সুশীল সমাজের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন