শ্রেয়সী গঙ্গোপাধ্যায়: হোটেলের ঘরে রাত কাটছে আতঙ্কে। আড়াই বছরের মধ্যে দ্বিতীয়বার বাড়িছাড়া হলেন বউবাজারের বহু বাসিন্দা। বউবাজারের বাসিন্দারা জানিয়েছেন মেট্রোর বোরিংয়ের কাজের জন্য পুরনো বাড়ি মাঝেমধ্যেই কাঁপে। অনুভূত হয় তীব্র ভাইব্রেশন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

দুর্গা পিটুরি লেন থেকেই মূল সমস্যার সূত্রপাত হয়েছে মেট্রোর লাইনের কাজে। এখানে রয়েছে একটি বড় চৌবাচ্চার মত অংশ যেখানে প্রায় ২৪ মিটার নিচে চলছিল সুড়ঙ্গের কাজ। 


এই অংশের একদিকে ছিল এসপ্ল্যানেড থেকে আসা টিবিএম এবং অন্যদিকে ছিল শিয়ালদহ থেকে আসা টিবিএম। এই ফাঁকা অংশে দুটি টিবিএম বের করে এনে উপর থেকে ঢেকে সুড়ঙ্গটি পূরণ করার কাজ চলছিল। নিচের অংশে ঢালাইয়ের কাজ চলছিল কিন্তু বিগত কিছুদিনে বেড়েছে বৃষ্টি এবং এর ফলেই উঠে এসেছে জলস্তর। 


ইঞ্জিরিয়ারদের বক্তব্য এই সম্পূর্ণ এলাকায় একটি ওয়াটার পকেট রয়েছে এবং ঢালাইয়ের কাজ শেষ না হওয়ায় উঠে এসেছে জলস্তর। জলস্তর উঠে আসার ফলে নিচে থাকা একটি ছিদ্র দিয়ে বেরিয়ে আসে সেই জল। এছাড়াও জল বেরনোর ফলেই উপরের মাটি আসতে আসতে নিচে বসে যেতে থাকে বলে তাদের অভিমত যার ফলেই বেশ কিছু বাড়িতে ফাটল দেখা দিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। 



খবর পাওয়ার পর থেকেই মেট্রো কর্তৃপক্ষ এই ফাঁকা অংশে কংক্রিট ফেলে বন্ধ করার কাজ শুরু করেছে বলে জানা গেছে। এর মূল উদ্দেশ্য ফাটলের অংশটিকে কংক্রিট দিয়ে ঢেকে দেওয়া। এরপরেও জল বেরতে থাকার কারণ হিসেবে মেট্রো কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে জলস্তর উপরে উঠে আসায় ফাটলের মুখে কংক্রিট জমাট বাঁধার সময় পাওয়া যাচ্ছে না। 


 



আরও পড়ুন: Bowbazar: ২০১৯-র দুঃস্বপ্ন পেরিয়ে এসে ফের ঘরছাড়া বউবাজারের বহু বাসিন্দা, জমছে চাপা ক্ষোভ


মেট্রোর তরফে জানানো হয়েছে যে ২০১৯ সালে যখন টানেলে জল বেরনোর ঘটনা ঘটে তখন জলের সঙ্গে মাটিও বেরিয়ে এসেছিল। এরফলেই সেই সময় ওই অঞ্চলের বাড়িগুলি ধসে পড়ে। তারা আরও জানিয়েছে যে এইবার জলের মাটি বেরনোর মত সমস্যা দেখা যায়নি। এরফলে উপর থেকে মাটি ধসে বাড়ি ভেঙে পড়ার মত ঘটনা ঘটবে না বলেই মনে করছেন তারা। তারা আরও জানিয়েছে যে এই মুহূর্তে এই ফাটলে মুখ সারাই করার সঙ্গেই বাড়ির ক্র্যাক মেরামতির কাজও শুরু হয়েছে।       


 



(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)