নিজস্ব প্রতিবেদন: ফের শিরোনামে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড। এবার স্বাস্থ্য সাথী কার্ড নিয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হাইকোর্ট। ১৮৮ কোটি টাকার গরমিলের অভিযোগ উঠেছে। ২৩টা জেলায় বিভিন্ন জোনের মধ্যে খোঁজ খবর নেওয়া হয়। সমীক্ষায় জানা গিয়েছে প্রতি ১০০ জনের মধ্যে ৯০ জনই নাকি কার্ড পায়নি। আজ বৃহস্পতিবার, অজয় প্রাসাদ ও অজয় মান্না নামে দুই ব্যক্তি মামলা দায়ের করেন। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

যাঁরা পেয়েছেন তাঁরা আবার হাসপাতালে গিয়ে সুবিধা পাচ্ছেন না। প্রত্যেক মাসে যে সংখ্যক চিকিৎসা হয়েছে, তার রোগীর সংখ্যা এবং খরচ বাবদ যে হিসাব প্রকাশ্যে এসেছে গোটাটাই ভুল। মামলাকারীর দাবি একসঙ্গে তিন মাসের রিপোর্ট হাতে এসেছে। সবমিলিয়ে প্রায় ২০০ কোটি টাকার গরমিল হয়েছে। মামলাকারীরা আবেদন করে জানিয়েছেন, ক্যাগকে দিয়ে গোটা বিষয়টির তদন্ত করা হোক। সরকার যে সংখ্যা বলছে, যারা সুযোগ সুবিধা পাচ্ছেন, সেই হিসাব ভুল বলে দাবি অজয় প্রাসাদ ও অজয় মান্না নামে দুই মামলাকারীর।


সরকারি ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী ২৩ জেলায় ২০১৬-১৭, ২০১৭-১৮, ২০১৯-২০ এই ৪ বছর ১০,১২,৩৮৬ রোগী চিকিৎসা পেয়েছে। কিন্তু সেই পরিসংখ্যান জেলা ধরে হিসাব করলে যোগফল দাঁড়ায় ৯,১৪,9৯৩৫। ৯৭,৪৫১ জন বাড়তি রোগী দেখানো হয়েছে। ফেব্রুয়ারি ২০-তে শেষ চার বছরের চিকিৎসার খরচ দেখানো হয়েছে ১ হাজার ৯ কোটি ৩০ লক্ষ ৭১৪ টাকা। কিন্তু সেখানেও যোগফল ৮৯৩ কোটি টাকা।
সরকার এখানে ১১৫ কোটি টাকা অতিরিক্ত দেখছে। 


মার্চ মাসের রিপোর্ট অনুযায়ী শেষ চার বছরে চিকিৎসা হওয়া রোগীর সংখ্যা ১০,৩১,৬১৫। জেলা ধরে রোগীর সংখ্যা যোগ করলে যোগফল দাঁড়াচ্ছে ৯,৬৮,৬৯১ জন। বাড়তি দেখানো হয়েছে ৬২,৯২৪ জন। এত রোগীর জন্য খরচ হয়েছে  ১ হাজার ৫০ কোটি টাকা। জেলা ধরে খরচ হিসাব করলে দেখা যাচ্ছে মোট খরচ হয়েছে ৯৫১ কোটি টাকা। বাড়তি দেখানো হয়েছে ৯৮ কোটি টাকা। মাত্র দু-মাসের হিসেবেই ৩৪ হাজার ৫২৭ জন রোগীর ফারাক। এই সমস্ত রিপোর্ট অনুযায়ী ১৮৯ কোটি টাকা গরমিল রয়েছে হিসেবে।


আরও পড়ুন: আপাতত চলতে পারে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ, জানাল হাইকোর্ট


প্রসঙ্গত, স্বাস্থ্যসাথী (Swasthya Sathi) কার্ড নিয়ে কোনও বেসরকারি নার্সিংহোমে গিয়ে সাধারণ মানুষকে যদি হয়রানির শিকার হতে হয়, মানুষ যদি চিকিত্সা পরিষেবা না পায়, তাহলে সেই নার্সিংহোমের লাইসেন্স বাতিল করতে পারে সরকার। কিছুদিন আগে রানাঘাটের হবিবপুরের সভা থেকে এমনই কড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে এমনটাই জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। কিন্তু তাতেও টনক নড়েনি। কার্ড থাকা সত্বেও একাধিক ক্ষেত্রে হয়রানির ছবি দেখা গিয়েছে। মামলায় এি দিকটিও তুলেছেন মামলাকারীরা।


আরও পড়ুন: আপাতত চলতে পারে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ, জানাল হাইকোর্ট


উল্লেখ্য,  খাস কলকাতায় বিধি ভঙ্গের অভিযোগ তুলে সম্প্রতি একটি স্বাস্থ্যসাথীর ক্যাম্প অফিস বন্ধ করে দেয় নির্বাচন কমিশন। ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা হওয়ার পর কলকাতার গড়ফা এলাকায় চলছিল এই স্বাস্থ্যসাথী ক্যাম্প চলছিল। এলাকার ১০৪ নম্বর ওয়ার্ডের দীনেন্দ্রনাথ মেমোরিয়াল গার্লস হাইস্কুলে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের ছবি তোলার কর্মসূচি নেওয়া হয়। ভোটের নির্ঘণ্ট (West Bengal Assembly Election 2021) ঘোষণা হতেই নির্বাচনী বিধি লাগু হয়ে গিয়েছে। এই মর্মে স্বাস্থ্যসাথী (Swastha Sathi) ক্যাম্প বন্ধ করল নির্বাচন কমিশন।