WB Assembly Election 2021: আগামী ৬ এপ্রিল পর্যন্ত NIA হেফাজত ছত্রধরের, পুরোটাই Suvendu-র চক্রান্ত, সরব নিয়তি মাহাত
গত রবিবার ভোরে লালগড়ের বাড়ি থেকে ছাত্রধরকে তুলে আনে এনআইএর ৪০ জনের একটি টিম
নিজস্ব প্রতিবেদন: ছত্রধর মাহাতকে আগামী ৬ এপ্রিল পর্যন্ত এনআইএ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিল বিশেষ আদালত। তাঁকে ১২ দিন হেফাজতে চেয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা। সেই আবেদন সাড়া না দিয়ে ৬ এপ্রিল পর্যন্ত এনআইএ হেফাজতের নির্দেশ দিল আদালত।
আরও পড়ুন-Big Breaking : BJP প্রার্থী অশোক দিন্দাকে আক্রমণের ঘটনায় রিপোর্ট তলব কমিশনের
এনিয়ে ছত্রধরের(Chatradhar Mahato) আইনজীবী কৌশিক সিনহা রায় বলেন, ছত্রধরবাবুকে আজ আদালতে তোলা হয়েছিল। ওঁর বেল-এর জন্য আবেদন করেছিলাম। আমাদের সব যুক্তি আদালতে পেশ করেছিলাম। অন্যদিকে, NIA আবেদন করেছিল, তদন্তের জন্য আরও ১২ দিন হেফজতে চাই। দুপক্ষের আবেদন শুনে আদালত ছত্রধরকে ৬ দিন এনআইএ হেফাজতে রাখা নির্দেশ দিয়েছে। ছত্রধরকে যেভাবে শারীরিক নির্যাতন করে রাতের অন্ধকারে বাড়ি থেকে তুলে আনা হয়েছে সেই বিষয়টিও আদালতে জানানো হয়েছে। তাঁরে দেহে আঘাত সম্পর্কেও আদালতে বলা হয়েছে। এনআইএ হেফাজতে তাঁর উপরে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন যাতে না করা হয় তা খেয়াল রাখতে নির্দেশে দিয়েছে আদালত। ছত্রধর একজন প্রভাবশালী মানুষ। সেই জন্যই এই ভোটের সময়ে তাঁকে আটক করে রাখা হচ্ছে।
আরও পড়ুন-'অত্যন্ত খারাপ ভাষা,' মমতার ভাষণ 'নিষিদ্ধ' ঘোষণার দাবি BJP-র
অন্যদিকে, ছত্রধরের গ্রেফতার নিয়ে তাঁর স্ত্রী নিয়তি মাহাত বলেন, ছত্রধরের গ্রেফতার পুরোপুরি একটি রাজনৈতিক চক্রান্ত। দশ বছর জেলে থাকার পর এনআইএ এতদিন মনে করল তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত করতে হবে। বিজেপি বুঝে গিয়েছে বাংলায় তারা ক্ষমতায় আসতে পারবে না। আমার স্বামী জঙ্গলমহলে যেভাবে মানুষের কাছে পৌঁছে গিয়েছিলেন তাতে বিজেপি আশঙ্কিত। ভোর তিনটের সময়ে তাঁকে কিডন্য়াপের মতো করে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। কোনও কাগজপত্র দেখানি। বাড়িতে গোটা পরিবারের সামনে তাঁর উপরে নির্যাতন করা হয়েছে। গোটা বিষয়টি শুভেন্দুর(Suvendu Adhikari) চক্রান্ত। ও জানতো জঙ্গলমহলে ভোট শেষ হয়েছে এবার ছত্রধর নন্দীগ্রামে প্রচারে আসবে। তাই এসব করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত রবিবার ভোরে লালগড়ের বাড়ি থেকে ছাত্রধরকে তুলে আনে এনআইএর ৪০ জনের একটি টিম। অভিযোগ, বাড়ির দরজা ভেঙে ঢুকে তাকে বাড়ি থেকে তুলে আনা হয়। স্ত্রী নিয়তি মাহাতর অভিযোগ, গ্রেফতারের কোনও কাগজপত্র দেখানো হয়নি। বোঝা যায়নি ওরা পুলিস নাকি বিজেপির লোক।