WB Assembly Election 2021: জেলায় নেতা-নেত্রীদের প্রবেশে `না`, Mamata-র কোচবিহার সফরে নিষেধাজ্ঞা জারি কমিশনের
রবিবার শীতলকুচি যাচ্ছেন রাজ্য পুলিসের ডিজি।
নিজস্ব প্রতিবেদন: রবিবার শীতলকুচি যেতে পারবেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। গুলিকাণ্ডের পর তাঁর সফরে নিষেধাজ্ঞা জারি করল নির্বাচন কমিশন। আগামী ৭২ ঘণ্টা জেলায় ঢুকতে পারবেন না কোনও রাজনৈতিক নেতা-নেত্রীই। রবিবার শীতলকুচি যাচ্ছেন রাজ্য পুলিসের ডিজি।
শীতলকুচিতে গুলিকাণ্ডে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের (Amit Shah) ইস্তফার দাবি তুলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। নিশানা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকেও (PM Modi)। এদিন হালিশহরের জনসভায় তৃণমূলনেত্রী বলেন, 'আজকে বলেছে, পুলিস মেরেছে, না মেরে কোনও উপায় ছিল না। ভাবুন একবার দেশের প্রধানমন্ত্রী বলছে, গুলি চালিয়ে ঠিক করেছে। মানে ক্নিনচিট দিয়ে চলে গেল। শিলিগুড়ি দাঁড়িয়ে, মিটিং করে যাঁরা গুলি চালিয়েছে, তাঁদের ক্নিনচিট দিয়ে চলে গেলেন। তিনি কিন্তু শীতলকুচিতে গেলেন না একবারও। যেখানে পাঁচজনের ডেডবডি পড়ে রয়েছে'। আগামীকাল অর্থাৎ রবিবার শীতলকুচিতে গিয়ে মৃতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করার কথা ঘোষণা করেছিলেন। এমনকী, অমিত শাহের পদত্যাগের দাবিতে সেখানে কালো ব্যাজ পরে পদযাত্রা করারও পরিকল্পনা ছিল মমতার। কিন্তু বাদ সাধল কমিশন।
আরও পড়ুন: WB Assembly Election 2021: 'মানুষকে খেপাতে শুরু করেছেন', Mamata-কে গৃহবন্দির করার দাবি Dilip-র
জেলা প্রশাসন এবং বিশেষ পুলিস পর্যবেক্ষকের রিপোর্ট পাওয়ার পর নয়া নির্দেশিকা জারি করেছে কমিশন। আগামী ৭২ ঘণ্টা কোচবিহারে রাজনৈতিক নেতা-নেত্রীদের প্রবেশে জারি করা হয়েছে নিষেধাজ্ঞা। নির্দেশিকা জারি করে কমিশন জানিয়েছে, সুষ্ঠভাবে নির্বাচন পরিচালনার জন্য শীতলকুচিতে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা একান্ত প্রয়োজন। স্রেফ মুখ্যমন্ত্রীই নন, যেকোনও রাজনৈতিক দলের নেতা-নেত্রী যদি সেখানে যান, তাহলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠতে পারে। সেকারণেই ৭২ ঘণ্টা অর্থাৎ ৩ দিন জেলার ৫টি জায়গায় যাওয়া যাবে না। এমনকী, পঞ্চম দফার ভোটে প্রচারের সময়সীমাও কমিয়ে দেওয়া হল। ৪৮ ঘণ্টা নয়, ভোটগ্রহণের ৭২ ঘণ্টা আগে প্রচার শেষ করতে হবে।
কোচবিহারে সফরে নিষেধাজ্ঞা জারির সিদ্ধান্তের কড়া সমালোচনা করেছেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। Zee ২৪ ঘণ্টাকে বললেন, 'নির্বাচন কমিশন বিজেপির শাখা সংগঠনের মতো আচরণ করছে। সুজাতা মন্ডল খাঁ যখন মার খান, তখন কেন্দ্রীয় বাহিনীকে খুঁজে পাওয়া যায় না। আর যখন শান্তিতে ভোট হয়, তখন গুলি চালাচ্ছে। পরে আত্মরক্ষা থিওরি আউড়াচ্ছে'। কুণালের অভিযোগ, 'মুখ্যমন্ত্রীকে আটকানোর জন্য নাটক করা হচ্ছে'। বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্যের (Samik Bhattacharya) প্রতিক্রিয়া, 'তৃণমূলের তরফে লাগাতার বলা হল, কেন্দ্রীয় বাহিনী দেখলে বাড়ির মহিলা কুড়ুল, বটি,দা নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ুন। ঘেরাও করে রাখুন। সংবিধানিক পদ মর্যাদা ধুলিসাৎ করে, যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো উপেক্ষা করে সাংবিধানিক সংকট তৈরি চেষ্টা করা হয়েছে। তারই পরিণতি এই মর্মান্তিক, অভিপ্রেত, দুর্ভাগ্য়জনক ঘটনা। নির্বাচন কমিশন স্বতন্ত্র সংস্থা। তাদের সিদ্ধান্তকে মানতে হবে'।