শ্রেয়সী গঙ্গোপাধ্য়ায়: শনিবার মধ্যরাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ও দিল্লিতে দুটি গোপনীয় চিঠি পাঠিয়ে হইচই ফেলে দিয়েছিলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। মধ্যরাতে কেন, চিঠি নিয়ে রাজ্য সরকারে আগ্রহ ছিল তুঙ্গে।  সেই চিঠি নিয়ে আলোচানা করার সময় এখন নয় বলেই আজ মন্তব্য করলেন রাজ্যপাল। কেন? তার ব্যাখ্যাও দিলেন সি ভি আনন্দ বোস।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-পরবর্তী সম্মেলন কোথায়? কার হাতে জি২০-র সভাপতিত্ব তুলে দিলেন মোদী?


সূত্রের খবর নবান্ন ও দিল্লিকে লেখা তাঁর মুখ্বন্ধ খামে রাজ্যে শিক্ষা পরিস্থিতি নিয়েও কথা বলা হয়েছে বলে খবর। তবে সোমবার রাজ্যপাল বলেন, চিঠি নিয়ে আলোচনার সময় এখন নয়। কারণ বিদেশ সফরে যাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এইসময় তাঁকে টেনশনে রাখতে চাই না। চাই না উনি কোনও বাড়তি বোঝা নিয়ে বিদেশে যান। উনি ফিরে এলেই আলোচনা হবে।


রাজ্যপালের চিঠি নিয়ে যে পরিমাণ হইচই হয়েছিলব তাতে মনে করা হয়েছিল এনিয়ে রাজ্যপাল কিছু বলবেন। কিন্তু তার ধার দিয়েই গেলেন না রাজ্যপাল। বরং বললেন মুখ্যমন্ত্রী বিদেশ থেকে ফিরলেই কথা হবে বলে জানান। চিঠির বিষয়বস্তু নিয়ে তাঁকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, কিছু বিষয় বলার ছিল তাই চিঠি লেখা হয়েছে। যাঁকে চিঠি দেওয়া হয়েছে তিনিই এনিয়ে ব্যাখ্যা দেবেন। এই মুহূর্তে ওই চিঠি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করতে চাই না। বিদেশযাত্রার আগে তাঁর উপরে কোনও বোঝা চাপাতে চাই না।


অস্থায়ী উপাচার্য কবে নিয়োগ হবে? সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে রাজ্যপাল বলেন, এটি একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়া। তবে অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য হিসেবে নিয়োগের ক্ষেত্রের অধ্যাপক হওয়ার অভিজ্ঞতা লাগে না। যে কোনও ব্যক্তিকেই অস্থায়ী উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ করা যায়। সেটা নিয়মে আছে। তা মেনেই অস্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ করা হচ্ছে। অর্থাত্ রাজ্যপালের বিরুদ্ধে বারবার যে অভিযোগ উঠছে যে তিনি নিয়মের তোয়াক্কা না করেই অস্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ করছেন, সেই অভিযোগ উড়িয়ে দেন রাজ্যপাল।


উপাচার্য নিয়ে নিয়ে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাতের মধ্যেই সি ভি আনন্দ বোসের কড়া সমালোচনা করেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। এনিয়ে রাজ্যপালকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, জুনিয়র কোনও অ্যাপয়েন্টি-র বক্তব্য নিয়ে কোনও কথা বলবেন না। রাজ্য সরকারের সঙ্গে রাজভবনের কোনও বিবাদ রয়েছে বলে তিনি মনে করেন না। রাজ্যপালের যদি কিছু জানানোর থাকে তাহলে তিনি তাঁর সাংবিধানক কোলিগ মুখ্যমন্ত্রীকেই বলবেন।  


রাজ্য়পালের মন্তব্য নিয়ে তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন বলেন, রাজ্যপাল চিঠি পাঠিয়েছেন। যাঁকে তিনি চিঠি পাঠিয়েছেন তিনি যদি মনে করেন চিঠির উত্তর দেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে তা তিনি দেবেন। কিন্তু মানণীয় রাজ্যপাল যেভাবে সমান্তরাল প্রশাসন চালিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে অবজ্ঞা করে তিনি যা করছেন তা বাংলার মানুষ দেখছে। বাংলার মানুষদের আর  বুঝতে অসুবিধে হচ্ছে না যে তিনি ধনখড়ের মতো বিজেপিকে তুষ্ট করার চেষ্টা করছেন।


 


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)