তৃণমূল ত্যাগের হিড়িকের মাঝে উলটপুরাণ? বিধায়ক সুনীল সিং-কে নিরাপত্তা দিল রাজ্য

নিজস্ব প্রতিবেদন: তৃণমূল ত্যাগের হিড়িকের মাঝে উলটপুরাণ? মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee) সঙ্গে সাক্ষাতের পর এবার বিধায়ক সুনীল সিং-কে (Sunil Singh) নিরাপত্তা দিল রাজ্য সরকার। সূত্রের খবর, বনগাঁ বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাসকেও (Biswajit Das) নিরাপত্তা দিতে চেয়েছিল রাজ্য। কিন্তু সরকারি নিরাপত্তা নিয়ে রাজি হননি তিনি। ভোটের মুখে দুই বিধায়কের 'ঘর ওয়াপসি' জল্পনা আরও বাড়ল। এমনকী, ২ দিন বাদেই সুনীল সিং ফের পুরানো দলের ফিরতে পারেন বলে খবর।

খাতায়-কলমে দু'জনেই এখনও তৃণমূল বিধায়ক। বিজেপিতে (BJP) যোগ দেওয়ার পর গতকাল আচমকাই বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীর ঘরে গিয়ে দেখা করেন বনগাঁর বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস (Biswajit Das) ও নোয়াপাড়ার বিধায়ক সুনীল সিং (Sunil Singh)। সূত্রের খবর, ঘরে ঢোকার পর মুখ্যমন্ত্রীর পায়ে হাত প্রণাম করেন বিশ্বজিৎ দাস। এরপরই তাঁদের 'ঘর ওয়াপসি' জল্পনা তুঙ্গে ওঠে। পাল্টা তৎপরতা শুরু হয়ে যায় গেরুয়াশিবিরে। সন্ধ্যায় হেস্টিংসে বিজেপির (BJP) পার্টি অফিসে তখন দলের নবাগতদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান চলছিল। সেই অনুষ্ঠান চালাকালীন আলাদা ঘরে নিয়ে গিয়ে বিশ্বজিৎ দাস ও সুনীল সিংয়ের সঙ্গে বৈঠকে বসেন কৈলাস বিজয়বর্গীয় (Kailash Vijayvargiya), মুকুল রায় (Mukul Roy), অর্জুন সিংয়ের (Arjun Singh) মতো দলের শীর্ষ নেতারা। এরপর অনুষ্ঠানে মাঝপথে  বিশ্বজিৎ ও সুনীলকে মঞ্চে তুলে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। 

বিজেপি সূত্রে খবর, বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী নিজেই সুনীল সিং ও বিশ্বজিৎ দাসকে ফের দলে ফেরানোর চেষ্টা করেছিলেন। তাহলে তাঁদের 'ঘর ওয়াপসি' কি শুধুই সময়ের অপেক্ষা? ঘটনার প্রবাহ সেদিকেই ইঙ্গিত করছে বলে মত রাজনৈতিক মহলের। এ প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখা দরকার, মুখ্যমন্ত্রীর সাক্ষাতের পর ফের দলবদলের প্রসঙ্গটি কার্যত এড়িয়ে যান সুনীল ও বিশ্বজিৎ। দাবি করেন, তাঁদের বিধানসভা এলাকায় কাজ বাকি রয়ে গিয়েছে। সেই প্রসঙ্গ কথা বলতেই মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন।