জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ওএমআর শিট নষ্ট করার মামলায় এবার নির্দেশে বদল আনলেন বিচাপতি অভিজিত গঙ্গোপাধ্যায়। যে এফআইআর-এর কথা বলা হয়েছিল গতকাল সেই এফআইআর দায়েরের বিষয়টি পুরোটাই সিবিআই-এর উপর ছেড়ে দিয়েছেন তিনি। এই মামলায় গতকাল বিচারপতি নির্দেশ দেন যে নতুন এফআইআর করে তদন্ত করবে সিবিআই। এরপরেই আজ সেই অর্ডারে একটি কারেকশন আনা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে নতুন এফআইআর করা হবে নাকি পুরনো এফআইআর-এর উপর ভিত্তি করে তদন্তও চালানো হবে সেই সিদ্ধান্ত নেবে সিবিআই।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

যদি পুরনো এফআইআর-এর উপর ভিত্তি করে তদন্ত হয় তাহলে যে রক্ষাকবচ আজ অবধি রয়েছে তা কার্যকর হয়ে যাবে। অন্যদিকে সিঙ্গেল বেঞ্চের যে রায় ডিভিশন বেঞ্চ বহাল রেখেছে তার বিরুদ্ধে সুপ্রিম কর্টে গিয়েছেন মানিক ভট্টাচার্য।


অন্যদিকে দিল্লির বঙ্গ ভবনে খোঁজ পাওয়া যায় মানিক ভট্টাচার্যের। সেখানে পৌঁছালে সাংবাদিকদের দিকে তেড়ে আসেন তিনি। সিবিআই-তে হাজিরা দেওয়ার কথা থাকলেও তিনি সেখানে যাননি এবং সিবিআই-কে তিনি জানিয়ে দেন সুপ্রিম কোর্টে মামলা চলার কারণে তিনি দিল্লিতে রয়েছেন।  


পড়ুন, বাঙালির প্রাণের উৎসবে আমার 'e' উৎসব। Zee ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল শারদসংখ্যা


মঙ্গলবার সন্ধে আটটার মধ্য়ে মানিক ভট্টাচার্যকে নিজাম প্যালেসে সিবিআই দফতরে হাজিরা দিতে নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। টেট-এর ওএমআর শিটে কারচুপির অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে ওই নির্দেশ দেন হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্য়ায়। এখানেই থেমে থাকেননি বিচারপতি। তিনি নির্দেশ দেন, তদন্ত সহযোগিতা না করলে মানিককে হেফাজতে নিয়ে জেরা করতে হবে। ফলে হাইকোর্টের নির্দেশে একেবারে কোণঠাসা হয়ে পড়েন মানিক ভট্টাচার্য। কিন্তু হাইকোর্টের রায়ের কয়েক ঘণ্টা পরই তাঁকে কিছুটা স্বস্তি দেয় সুপ্রিম কোর্ট। সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশ, জেরা করলেও বুধবার পর্যন্ত তাঁকে গ্রেফতার করতে পারবে না সিবিআই।


তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট গিয়েছিলেন মানিক ভট্টাচার্য। সেই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে আজ। ততক্ষণ পর্যন্ত তাঁকে গ্রেফতার করা যাবে না বলেই নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। অর্থাত্ ২৪ ঘণ্টার জন্য রক্ষাকবজ পান মানিক।  


সিবিআই জানিয়েছে ওএমআর শিটে এক হাজারের বেশি ট্যাম্পারিংয়ের হদিস তারা পেয়েছেন। আদালতে তারা বিষয়টি জানিয়ে দিয়েছেন। জানা যাচ্ছে প্রায় ১৩ লাখ ওএমআর শিট নষ্ট করে ফেলা হয়েছে। এখানেই প্রশ্ন উঠছে ওইসব শিট নষ্ট করার ক্ষেত্রে কেন টেন্ডার ডাকা হয়নি। পাশাপাশি যখন ওএমআর শিট নষ্ট করা হচ্ছিল তখন কোনও সরকারি প্রতিনিধিকে রাখা হয়নি।