ওয়েব ডেস্ক : টাকাপয়সা, সোনাদানা কত? বাড়ি-গাড়ি কটা? শীঘ্রই রাজ্যের অফিসারদের সম্পত্তি সংক্রান্ত এধরনের সমস্ত তথ্য মিলতে পারে সরকারি ওয়েবসাইটে। IAS, IPS-দের মতো, নিয়মের একই ব্র্যাকেটে পড়বেন রাজ্যের WBCS থেকে গ্রুপ-B অফিসাররাও। প্রশাসনিক স্তরে স্বচ্ছতা আনতেই এমন ভাবনা। নোট-বাতিল  ইস্যুতে এখন দেশজুড়ে ঝড়। বিরোধিতার সুর চড়াতে, একের পর এক রাজ্য চষে ফেলছেন মুখ্যমন্ত্রী। বিরোধীদের সম্মিলিত বিরোধিতা। সংসদের ভিতরে-বাইরে জোরদার আন্দোলন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সবের মাঝে নিজের দলের স্বচ্ছ ভাবমূর্তি তুলে ধরতে, খোদ নরেন্দ্র মোদীই বিজেপির প্রত্যেক সাংসদ, বিধায়ককে আটই নভেম্বর থেকে একত্রিশে ডিসেম্বরের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট লেনদেনের হিসেব দাখিল করতে নির্দেশ দিয়েছেন। সেই স্বচ্ছতাই কি রাজ্য প্রশাসনেও আনতে চাইছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়?


আরও পড়ুন- স্কুল শিক্ষকদের জন্য স্বস্তির নির্দেশ হাইকোর্টের


রাজ্যের WBCS থেকে গ্রুপ-B অফিসারদের সম্পত্তি সংক্রান্ত তথ্য সরকারি ওয়েবসাইটে দেওয়ার ব্যাপারে চিন্তাভাবনা করছে নবান্ন। রাজ্যের সব কর্মী-অফিসাররাই বছরের গোড়ায় স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির বিস্তারিত তথ্য সরকারকে দেন। সম্পত্তি-তথ্য ধাপে ধাপে প্রকাশ্যে আনার পরিকল্পনা রয়েছে রাজ্য সরকারের। পুলিসের ক্ষেত্রে এই সম্পত্তি খতিয়ান দেওয়ার আওতায় পড়তে পারেন ইন্সপেক্টর পদমর্যাদা পর্যন্ত অফিসাররা সরকারের বক্তব্য, এর সঙ্গে নোটকাণ্ডের কোনও সম্পর্ক নেই।


কয়েকমাস ধরেই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলছিল, তা এখন প্রায় চূড়ান্ত হওয়ার পথে। বছর শেষের আগেই এই নয়া ব্যবস্থা কার্যকর করা হবে। এজন্য প্রয়োজনীয় আইন পরিবর্তনও করবে রাজ্য সরকার। মন্ত্রিসভার বৈঠকেই ওয়েস্ট বেঙ্গল সার্ভিস রুল পরিবর্তন করা হবে। IAS, IPS অফিসারদের প্রতি বছরই স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির হিসেব দিতে হয়। তা ওয়েবসাইটেও দিয়ে দেওয়া হয়। তবে পারিবারিক সম্পত্তির তথ্য ওয়েবসাইটে দেওয়া নিয়ে এর আগে তাঁদের তরফে আপত্তি তোলা হয়।


এর জেরে IAS, IPS অফিসারদের ব্যক্তিগত অস্থাবর সম্পত্তি অর্থাত্‍ টাকা, সোনাগয়নার মতো জিনিসপত্রের তথ্য কেন্দ্রীয় ওয়েবসাইটে এখন আর দেওয়া হয় না। এই দিকটি নিয়েও ভাবনাচিন্তা করছে রাজ্য সরকার। রাজ্যের অফিসারদের শুধু স্থাবর সম্পত্তি অর্থাত্‍ বাড়ি, জমি, ফ্ল্যাটের হিসেবই ওয়েবসাইটে দেওয়া হবে কিনা, এনিয়ে ভাবা হচ্ছে। সবটাই অবশ্য চূড়ান্ত হবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এতে সিলমোহর দেওয়ার পর।