নিজস্ব প্রতিবেদন: সোমবারই ষষ্ঠ বেতন কমিশনের সুপারিশ গ্রহণ করেছে রাজ্য সরকার। এর ফলে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বেতন প্রায় ২.৮ গুণ বাড়তে চলেছে। এদিন নবান্নে একথা ঘোষণা করেন অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র। ষষ্ঠ বেতন কমিশনের সুপারিশ যে দ্রুত রাজ্য সরকার গ্রহণ করতে চলেছে তা আগেই জানিয়েছিলেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার হল তার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা। যদিও রাজ্য সরকারের এই ঘোষণায় খুশি নয় সরকারি কর্মীদের একাংশ। রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনাল। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

 



কর্মচারীদের ক্ষোভের কারণ, এতদিন রাজ্য সরকারি কর্মীদের ন্যূনতম বেসিক ছিল ৬,৬০০ টাকা। এর সঙ্গে ১২৫ শতাংশ ডিএ এবং ১৫ শতাংশ HRA যোগ করে বেতন ছিল ১৫,৮৪০ টাকা। সোমবার অমিত মিত্র যে বেতনবৃদ্ধির ঘোষণা করেছেন, বেসিক, গ্রেড-পের সঙ্গে বেতন একত্রিত করে দেওয়া হল এবং বর্তমান বেসিকের ২.৮ গুণ হবে বর্ধিত বেতন। অর্থাৎ ৬,৬০০ টাকা বেসিক পান এমন কর্মচারীর বেতন হবে ১৯,৬০০ টাকা। অর্থাৎ বেতন বাড়ল মাত্র ২,৪৮০ টাকা। এই কারণেই একাধিক রাজ্য সরকারি কর্মচারী সংগঠন ট্রাইব্যুনালের দ্বারস্থ হতে চলেছে। 


রাজ্য সরকারি কর্মচারী ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মলয় মুখোপাধ্যায় বলেন, '২০১৬ সাল থেকে বেতন কমিশন বকেয়া রয়েছে। ২০২০ সালে তা কার্যকর করার কথা বলা হলেও তিন বছরের বকেয়া বেতন নিয়ে একটা কথাও বলেননি অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র। ডিএ-এর ব্যাপারে কোনও কথা বললেন না তিনি। উনি চালাকি করেছেন।  ১৫ শতাংশ HRA কমিয়ে ১২ শতাশ করা হয়েছে। তিন বছরের বকেয়া বেতন না দেওয়ায় প্রত্যেক কর্মীর ন্যূনতম লক্ষ টাকা মতো বকেয়া লোকসান হল।' 


তৃণমূল নেতাদের নাম লিখে রাখুন, টাকা ফেরত না দিলে গ্রামছাড়া করব, মেদিনীপুরে দিলীপ


একই রকম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্টেট স্টিয়ারিং কমিটির সাধারণ সম্পাদক সংকেত চক্রবর্তী।  তিনি বলেন, 'উনি (অমিত মিত্র) এরিয়ার নিয়ে কোনো কথা বললেন না। ডিএ নিয়েও কোনো কথা বললেন না। বললেন বেতন কমিশন লাগু হবে ২০২০ পয়লা জানুয়ারি থেকে।
 তাহলে ২০১৬ থেকে এই তিন বছরের বকেয়া কোথায়? বামেরা ২৭ মাস বকেয়া ডিএ দেয়নি বলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আন্দোলন করেছিলেন। আর তাঁর সরকারই এবার বকেয়া দিচ্ছে না। এটা মানা যায় না।'


কনফেডারেশনের দাবি, 'ডিএ নিয়ে কোনও সুস্পষ্ট ঘোষণা না করে ট্রাইব্যুনালের নির্দেশ অমান্য করেছে রাজ্য সরকার। এই অভিযোগ ফের স্যাটের দ্বারস্থ হতে চলেছেন তাঁরা।