নিজস্ব প্রতিবেদন:  'পায়েল, শ্রাবন্তী, পার্নো ইত্যাদি নগরীর নটীরা নির্বাচনের টাকা নিয়ে জলকেলি করে বেড়িয়েছেন আর মদন মিত্রের সঙ্গে নৌকাবিলাসে গিয়ে সেলফি তুলেছেন'। পুরনো বিতর্ক উস্কে দিয়ে এবার দলের তারকা প্রার্থীদের নিশানা করলেন বিজেপি নেতা তথাগত রায় (Tathagata Roy)। তোপ দাগলেন দিলীপ ঘোষ, কৈলাশ বিজয়বর্গীয়, শিবপ্রকাশদের মতো এ রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের বিরুদ্ধেও।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

একুশের ভোটে বাংলার জয়ে লক্ষ্যে সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপিয়েছিল বিজেপি। রাজ্যে এসে লাগাতার প্রচার চালিয়ে গিয়েছেন অমিত শাহ (Amit Shah), জেপি নাড্ডারা (JP Nadda)। এমনকী, বাদ যাননি খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও (PM Modi)। কিন্তু বঙ্গজয়ের লক্ষ্যে হাজারও প্রচার, স্ট্র্যাটেজি তৈরি করার পরেও ডাহা ফেল গেরুয়াশিবির! ২০০ পার করে ফের নবান্নে তৃণমূলই। বুধবার তৃতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর পদে শপথ নিতে চলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।


আরও পড়ুন: রাজ্যের 'উদ্বেগজনক' আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে Dhankhar-কে ফোন Modi-র


ভোটের আগে বিজেপি প্রার্থী বাছাই নিয়ে বিক্ষোভ কম হয়নি। হেস্টিংসে নির্বাচনী কার্যালয়ের সামনে দফা দফায় বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন দলের কর্মীদেরও।  শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়, পায়েল সরকার, পার্নো মিত্রদের মতো তারকাদের টিকিট দেওয়া নিয়ে ক্ষোভ ছিল গেরুয়াশিবিরের অন্দরে। শোচনীয়ভাবে হেরে গিয়েছেন তাঁরা সকলেই। রুপোলি পর্দার তারকাদের টিকিট দিল কে? প্রশ্ন তুললেন বিজেপি নেতা তথাগত রায়। টুইট করলেন, 'পায়েল শ্রাবন্তী পার্নো ইত্যাদি ‘নগরীর নটীরা’ নির্বাচনের টাকা নিয়ে কেলি করে বেড়িয়েছেন আর মদন মিত্রর সঙ্গে নৌকাবিলাসে গিয়ে সেলফি তুলেছেন (এবং হেরে ভূত হয়েছেন) তাঁদেরকে টিকিট দিয়েছিল কে ? কেনই বা দিয়েছিল? দিলীপ-কৈলাশ-শিবপ্রকাশ-অরবিন্দ প্রভুরা একটু আলোকপাত করবেন কি' ?


 



 


বিতর্কের সূত্রপাত দোলের সময়। একটি সংবাদ চ্যানেলের তরফে আয়োজিত অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন শ্রাবন্তী, পায়েল, তনুশ্রীর মতো বিজেপির তারকা প্রার্থীরা। সেই অনুষ্ঠানে মদন মিত্রদের জন্য 'খেলা হবে' গানটি যেমন বেজেছে, তেমনই শ্রাবন্তীদের জন্য বেজেছে 'রং দে তু মোহে গেরুয়া'। সঙ্গে বেজেছে মদন মিত্রের নিজের লেখা 'মোদী-শাহ কুমড়োর ঘ্যাঁট খা'। দোল উৎসবের এই ছবিই ছড়িয়ে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায়। সমালোচনার মুখে পড়ে কার্যত ক্ষমাও চেয়েছিলেন বেহালার দুই বিজেপি প্রার্থী শ্রীবন্তী চট্টোপাধ্যায় ও পায়েল সরকার। তাঁদের কথায়,  অনুষ্ঠানে কোনও রাজনীতির রং ছিল না, এটা ছিল নেহাতই রঙের উৎসব।