মৌমিতা চক্রবর্তী: উপনির্বাচনে জোট বেঁধে লাভ হয়নি। বরং লড়াইটা সীমাবদ্ধ থেকেছে বিজেপি ও তৃণমূলের মধ্যে। সিপিএম-কংগ্রেস এখনও মানুষের বিশ্বাস অর্জন করতে পারেনি বলে স্বীকার করে নিলেন সুজন চক্রবর্তী ও সোমেন মিত্র। সুজনের কথায়, ''লোকসভা ভোটে তৃণমূলের বিকল্প হিসেবে বিজেপিকে বেছে নিয়েছিল মানুষ। এবার বিজেপির বিকল্প তৃণমূলকে বেছেছে।''   


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

উপনির্বাচনে সবকটি কেন্দ্রেই লড়াই হয়েছে তৃণমূল ও বিজেপির। একমাত্র খড়্গপুর ছাড়া বাকি দুই কেন্দ্রে বাম-কংগ্রেস জোটে নজরে আসেনি।বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন,''মানুষ লোকসভা ভোটের সময় তৃণমূলের বিকল্প বিজেপিকে ভেবেছিল। আর এবার বিজেপির বিকল্প তৃণমূল কংগ্রেসকে বেছে নিয়েছে। আমাদের ওপর এখনও সেই আস্থা নেই। এটা বাস্তব।'' কিন্তু বামেদের কি আর মানুষ চাইছেন না? সুজনবাবুর ব্যাখ্যা, এটার মানে এই নয় আমাদের চাইছে না। বিকল্প আমরাই তা মানুষের সভা-সমিতি-মিছিলে   যোগদানেই স্পষ্ট। উপনির্বাচনের ফল দেখে আমরা পারলাম না। এটা ভাবার কোনও কারণ নেই। লেগে থাকলে রাজনীতির অঙ্ক ও তার সমীকরণের ফায়দা পাওয়া যায়। এটা ইনস্ট‍্যান্ট নুডলস নয়।


মানুষের আস্থা যে ফেরেনি, তা স্বীকার করে নিয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র। তাঁর কথায়,''আমরা মানুষকে বোঝাতে ব‍্যর্থ। এটা আমাদের ব‍্যর্থতা। একটা ভাটপাড়া ছাড়া আর যৌথ কর্মসূচি কোথায় হল? মানুষ কেন আমাদের বিশ্বাস করবে? ভোটের সময় জোট করলে মানুষের ভরসা আসবে কেন?'' 



প্রসঙ্গত, লোকসভা নির্বাচনের তুলনায় কালিয়াগঞ্জ-করিমপুরে জোটের ভোট কমেছে প্রায় ১০ শতাংশ। শুধুমাত্র খড়গপুরে হাত-হাতুড়ির ঝুলিতে এসেছে বাড়তি ৫ শতাংশ ভোট। এনআরসি আতঙ্কে ভোটারদের একটা অংশ তৃণমূলের উপরেই ভরসা রেখেছে বলে মত অনেকের।  


আরও পড়ুন- জোটের লবডঙ্কা! এনআরসি-তে রাজ্যে ধর্মীয় মেরুকরণে ৪৫% ভোট কমল বাম-কংগ্রেসের