নিজস্ব প্রতিবেদন: উপনির্বাচনে তিনটি কেন্দ্রে জয় নিশ্চিত হওয়ার পর বিজেপিকে নিশানা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মহারাষ্ট্রে বিজেপির সরকার গঠনের চেষ্টা ব্যর্থ হওয়া নিয়ে তাঁর কটাক্ষ, বিজেপি যেন ওয়াশিংমেশিন হয়ে গিয়েছে।  ওখানে যোগ দিলেই সবাই পরিষ্কার হয়ে যায়।       


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

তিনটি কেন্দ্রে জয়ের পর জি ২৪ ঘণ্টার এডিটর অনির্বাণ চৌধুরীকে ফোনে প্রতিক্রিয়া দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। লোকসভা ভোটে ধাক্কা পর উপনির্বাচনে ফল স্বস্তি দিয়েছে নেত্রীকে। সেই আত্মবিশ্বাসের সুর তাঁর গলায়। জি ২৪ ঘণ্টাকে তৃণমূল নেত্রী বলেন, ''দেশভাগ, জাতিভাগ, সংস্কৃতির উপরে অত্যাচার চলছে। সেই সময় এটা জনতার ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত। কেউ উপলব্ধি না করতে পারলে বুঝতে পারবে না।  মা-মাটি মানুষকে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। কৃতিত্ব ভোটারদের। গণতন্ত্রে জনতার আশীর্বাদ শুভকামনাই শেষ কথা বলে। ''


মহারাষ্ট্রে বৃহত্তম দল হলেও সরকার গঠন করতে পারেনি বিজেপি। সে রাজ্যে সরকার গড়তে চলেছে এনসিপি-শিবসেনা ও কংগ্রেস জোট। মহারাষ্ট্রে নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিক্রিয়া, মহারাষ্ট্রে পিছিয়ে পড়ল বিজেপি। এনসিপি-কংগ্রেস-শিবসেনা জোট বেঁধেছে। উগ্র হিন্দুত্ববাদ নিয়ে কাজ করে শিবসেনা।  আমরাও হিন্দু ধর্মের লোক। তবে সবাইকে নিয়ে চলার পক্ষে। যারা দীর্ঘদিন ধরে একসঙ্গে কাজ করেছে, তারাও বিজেপিকে ছেড়ে যাচ্ছে। 



 মহারাষ্ট্রে এনসিপি থেকে অজিত পাওয়ারকে ভাঙিয়ে এনে সরকার গড়ার চেষ্টা করেছিল বিজেপি। শনিবার সাত সকালে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথগ্রহণ করেন দেবেন্দ্র ফড়ণবীস। উপমুখ্যমন্ত্রী হন অজিত পাওয়ার। পরের দিনই ৭০ হাজার কোটি টাকার সেচ কেলেঙ্কারি থেকে ক্লিনচিট পান শরদ পাওয়ারের ভাইপো। ৭২ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই উপমুখ্যমন্ত্রিত্ব থেকে ইস্তফা দেন অজিত পাওয়ার। সেই অজিত পাওয়াকেই একটা সময় দেবেন্দ্র ফড়ণবীস বলেছিলেন, দুর্নীতিগ্রস্ত অজিত দাদা চাক্কি পিসিং, চাক্কি পিসিং। তাঁর সঙ্গে কোনওরকম সমঝোতা করবে না বিজেপি। ফলে অজিতের সঙ্গে জোট করায় বিজেপির স্বচ্ছ প্রশাসনের দাবি ঘিরেই উঠেছে বড়সড় প্রশ্ন। তা আর উসকে দিয়েছে অজিতের ক্লিনচিট।  সেই প্রসঙ্গের উল্লেখ না করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়  কটাক্ষ করেন, বিজেপির ঔদ্ধত্য বেড়ে গিয়েছে। একেক জন নেতা নিজেকে কী মনে করছে! বাপরে বাপ। আয়নায় মুখ দেখে না নিজেদের। শতছিদ্র নিজেদের। অথচ যেন ওয়াশিং মেশিন হয়ে গিয়েছে বিজেপি। সবাই চোর, দুর্নীতিবাজ, দেশদ্রোহী। ওদের ওয়াশিং মেশিনে যাও পরিষ্কার হয়ে চলে আসবে। এটা বিভ্রান্তিমূলক রাজনীতি।


আরও পড়ুন- ছবি: মহারাষ্ট্রে বিজেপি হাওয়া হতেই মমতার হোয়াটসঅ্যাপ স্টেটাসে 'গেরুয়ামুক্ত ভারত'