দেশভাগ, জাতিভাগের বিরুদ্ধে ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত মানুষের, জি ২৪ ঘণ্টাকে বললেন মমতা

তৃণমূলের ২১ বছর হল। কালিয়াগঞ্জ ও খড়্গপুর কোনওদিন পাইনি। এটাও আমরা পেয়েছি, ফোনে বললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 

Updated By: Nov 28, 2019, 01:07 PM IST
দেশভাগ, জাতিভাগের বিরুদ্ধে ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত মানুষের, জি ২৪ ঘণ্টাকে বললেন মমতা

নিজস্ব প্রতিবেদন: তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে কালিয়াগঞ্জ ও খড়্গপুর ছিল অধরা। কিন্তু উপনির্বাচনে দুটি কেন্দ্রেই প্রথমবার ফুটেছে ঘাসফুল। করিমপুরেও জয় নিশ্চিত। লোকসভা ভোটের পর উপনির্বাচন ছিল আদতে ২০২১ সালের মহড়া। আর তিনে তিন করে স্বাভাবিকভাবেই উচ্ছ্বাস তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের। আর জয়ের কৃতিত্ব মা-মাটি-মানুষকে দিলেন দলনেত্রী। জি ২৪ ঘণ্টার এডিটর অনির্বাণ চৌধুরীকে ফোনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিক্রিয়া, মা-মাটি মানুষকে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। কৃতিত্ব ভোটারদের। লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দিয়েছেন মানুষ। গণতন্ত্রে জনতার আশীর্বাদ শুভকামনাই শেষ কথা বলে। তিনটি আসনেই তাঁরা জিতিয়েছেন তৃণমূলকে। দেশভাগ, জাতিভাগ, সংস্কৃতির উপরে অত্যাচার চলছে। সেই সময় এটা জনতার ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত। কেউ উপলব্ধি না করতে পারলে বুঝতে পারবে না। 

তৃণমূলের প্রতিষ্ঠার পর থেকে কালিয়াগঞ্জ ও খড়্গপুর থেকে গিয়েছে ধরাছোঁয়ার বাইরে। কালিয়াগঞ্জে প্রাথমিক ভোটগণনায় এগিয়ে ছিলেন বিজেপি প্রার্থী। কিন্তু ক্রমশ পিছিয়ে পড়েন তিনি। চূড়ান্ত গণনায় ২৩০৪ ভোটে জিতে গিয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী তপন সিংহ। খড়্গপুরে কংগ্রেসের সোহন পাল সিংকে হারিয়েছিলেন দিলীপ ঘোষ। ওই কেন্দ্রে কার্যত প্রেস্টিজ ফাইটে নেমেছিল তৃণমূল। সেখানেও এসেছে সাফল্য। সে কথা মনে করিয়ে দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,''তৃণমূলের ২১ বছর হল। কালিয়াগঞ্জ ও খড়্গপুর কোনওদিন পাইনি। এটাও আমরা পেয়েছি। জাতি, ধর্ম জোট বেঁধে হারিয়ে দিয়েছে বিজেপিকে। ''

রাজ্যে এনআরসি-র দাবিতে ধুঁয়ো তুলেছিল বিজেপি। আর নাগরিকপঞ্জির বিরোধিতায় পাল্টা প্রচার চালিয়ে গিয়েছে তৃণমূল। নির্বাচনে কি এনআরসি প্রভাব ফেলেছে? এডিটর অনির্বাণ চৌধুরীর এই প্রশ্নে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,''আপনাদের আমি বলি, এনআরসি নিশ্চিতভাবে কাজ করেছে। তবে একটা একটা জায়গায় একেক রকম ইস্যু রয়েছে। লোকসভায় কালিয়াগঞ্জে রাজবংশীরা ভোট দেয়নি। তখন প্রাইভেট অপারেটরদের দিয়ে ইভিএমের কাজ করানো হয়েছিল। করিমপুরে অর্ধেক উদ্ধাস্তু হিন্দু ও মুসলিম। খড়্গপুরের মানুষও বুঝতে পেরেছে। সবাই আমাদের ভোট দিয়েছে। এটাও একটা কম্বিনেশন। আমি রাজবংশী আমার দরকার বাংলা। আমি আদিবাসী তৃণমূলকে দরকার। আমি মুসলিম, আমার সংস্কৃতি তৃণমূল রক্ষা করতে পারবে। হিন্দুরা মনে করে সর্বধর্ম সমণ্বয় করতে পারবে একমাত্র তৃণমূল। অবাঙালিরাও বাংলায় ভালো আছেন। তাঁরাও শিক্ষা, স্বাস্থ্যের সুবিধা পাচ্ছেন। সবার ভোট পেয়েছি। এটা সবচেয়ে বড় জয়। উপনির্বাচন হলেও গুরুত্বপূর্ণ।'' 

আরও পড়ুন- গরুর দুধে যে সোনা পেয়েছে, তাঁকে মানসিক হাসপাতালে পাঠানো হোক, কটাক্ষ ফিরহাদের

.