West Bengal Cabinet Reshuffle, Suvendu Adhikari: নতুন মন্ত্রীদের শপথে উপস্থিত থাকবেন শুভেন্দু? জোর গুঞ্জন
West Bengal Cabinet Reshuffle, Suvendu Adhikari: ঘনিষ্ঠ মহলে নাকি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা জানিয়েছেন, `যে সরকার ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসের মূল কান্ডারি। তাঁদের মন্ত্রীরা শপথ নেবেন, আর আমি হাততালি দেব। এটা হতে পারে না। আমি এই শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান বয়কট করলাম।`
শ্রেয়সী গঙ্গোপাধ্যায়: একুশে সরকার গঠনের ঠিক এক বছর পর, বুধবার রাজ্য মন্ত্রিসভার সবচেয়ে বড় রদবদল (West Bengal Cabinet Reshuffle)। একাধিক নতুন মুখ যেমন মন্ত্রিসভায় দেখতে পাওয়া যাবে। তেমনই বর্তমান মন্ত্রীদেরও দফতর বদলের প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। এ দিনই শপথ নেবেন নয়া মন্ত্রীরা। সেই শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে হাজির থাকবেন প্রশাসনের বহু গণ্যমান্য ব্যক্তি। নয়া মন্ত্রীদের শপথে হাজির থাকার জন্য আমন্ত্রণ পত্র পৌঁছে গিয়েছে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) কাছেও। কী করবেন তিনি? শপথে হাজির থাকবেন?
সূত্রের খবর, নয়া মন্ত্রীদের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান বয়কট করছেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। ঘনিষ্ঠ মহলে নাকি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা জানিয়েছেন, "যে সরকার ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসের মূল কান্ডারি। তাঁদের মন্ত্রীরা শপথ নেবেন, আর আমি হাততালি দেব। এটা হতে পারে না। আমি এই শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান বয়কট করলাম।" যদিও শুভেন্দুর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান বয়কটের খবরে, অবাক হওয়ার মতো কিছু দেখছে না রাজনৈতিক মহল। কারণ, এর আগেও রাজ্য সরকারের একাধিক অনুষ্ঠান বয়কট করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। বিধানসভার বৈঠকেও গরহাজির থেকেছেন তিনি।
আরও পড়ুন: West Bengal Cabinet Reshuffle: মমতার নয়া মন্ত্রিসভায় ৯ নামে শিলমোহর, নতুন মুখ ৮, কে কে?
আরও পড়ুন: Suvendu Adhikari: 'দুর্নীতিতে জড়িত তৃণমূলের অনেকেই'! শাহের কাছে তালিকা দিলেন শুভেন্দু
মঙ্গলবার দিল্লিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের (HM Amit Shah) সঙ্গে সাক্ষাৎ করে একাধিক তৃণমূল নেতার নামে অভিযোগ জানিয়ে এসেছেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। সংসদ ভবনে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। ৪৫ মিনিট ধরে দু'জনে বৈঠক চলে। কী আলোচনা হল? জানা গিয়েছে, ১০০ জন 'দুর্নীতিগ্রস্তে'র নামের তালিকা শাহের হাতে তুলে দিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। পরে শুভেন্দু টুইটে লেখেন, "পশ্চিমবঙ্গ সরকার কীভাবে শিক্ষক নিয়োগ-সহ বিভিন্ন দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েছে, সে বিষয়ে কথা হয়েছে। দ্রুত সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন কার্যকর করারও অনুরোধ জানিয়েছি।"
প্রসঙ্গত, মন্ত্রিসভা থেকে পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়ের অপসারণের দিনই মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন যে, ৫-৬ জন নতুন মুখ আসতে চলেছে। তবে সেই সংখ্যাটা যে বাড়ছে, তা নিশ্চিত হয়েই গিয়েছে। উল্লেখ্য, মঙ্গলবারই ফোন যায় প্রদীপ মজুমদার, বিপ্লব রায়চৌধুরী ও স্নেহাশিষ চক্রবর্তীর কাছে। ফোন করে তাঁদের মন্ত্রিসভায় নিয়ে আসার কথা জানানো হয়। এছাড়াও আরও দুজন, তাজমুল হোসেন এবং সত্যজিৎ বর্মণকেও বলা হয়, কলকাতায় থাকতে। কারণ এরা জেলা থেকে মন্ত্রী হবেন। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, কে কোন দফতর পাবেন? প্রদীপ মজুমদার কৃষি দফতরের দায়িত্ব পেতে চলেছেন বলে একপ্রকার নিশ্চিত। কারণ তিনি দীর্ঘদিন ধরেই মুখ্যমন্ত্রীর কৃষি উপদেষ্টা । তাই সেই থেকেই মনে করা হচ্ছে যে, যে কৃষি দফতরেরই দায়িত্ব পেতে চলেছেন তিনি।
তবে নতুন মন্ত্রীর নাম ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল, এদিন কয়েকজন হেভিওয়েট মন্ত্রীর দফতর রদবদল হতে চলেছে। পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়ের হাতে থাকা শিল্প-বাণিজ্য, তথ্যপ্রযুক্তি, পরিষদীয় দফতরের মত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দফতরগুলিকে মুখ্যমন্ত্রীকে বণ্টন করতে হবে। সেইসঙ্গে রয়েছে পঞ্চায়েত দফতরও। এক্ষেত্রে ফিরহাদ হাকিম, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য ও মলয় ঘটকের নাম উঠে আসছে। এখন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের হাতে ইতিমধ্যেই বেশকিছু দফতর রয়েছে। যারমধ্যে উল্লেখযোগ্য, অর্থ দফতর ও স্বাস্থ্য দফতর। অন্যদিকে ফিরহাদের হাতেও আছে অনেকগুলি দফতর। তিনি কলকাতার মেয়র, হিডকোর চেয়ারম্যান। একইসঙ্গে নগরোন্নয়ন, পরিবহন ও আবাসন দফতরের মন্ত্রী। যেটা শোনা যাচ্ছে, আবাসন ও পরিবহন দফতর ফিরহাদের হাত থেকে নিয়ে তাঁকে আরও গুরুত্বপূর্ণ কোনও দফতরের দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে। অর্থাৎ, তাঁদের হাতে থাকা বর্তমান কিছু দফতর নিয়ে তবেই নতুন আরও গুরুত্বপূর্ণ কোনও দফতর দেওয়া হতে পারে।