নিজস্ব প্রতিবেদন: প্ররোচনামূলক মন্তব্য করে আদর্শ নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সে কারণে আগামী ২৪ ঘণ্টা তৃণমূল নেত্রীর প্রচারে নিষেধাজ্ঞার নির্দেশ দিল নির্বাচন কমিশন। কমিশন জানাল, আজ সোমবার রাত ৮ টা থেকে আগামিকাল, মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত প্রচার করতে পারবেন না তৃণমূল নেত্রী।               


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

গত ৩ এপ্রিল তারকেশ্বরের জনসভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) বার্তা ছিলেন,'সংখ্যালঘু ভাই-বোনেদের কাছে হাতজোড় করে একটা কথা বলব, ওই শয়তান ছেলেটা বিজেপির টাকা নিয়ে বেরিয়েছে। ওর কথা শুনে সংখ্যালঘু ভোট ভাগ করবেন না। ও সাম্প্রদায়িক কথা বলে। বিজেপি টাকা নিয়ে বেরিয়েছে যাতে সংখ্যালঘু ভোট ভাগ হয়ে যায়। মনে রাখবেন, বিজেপি আসলে দুর্ভোগ আপনাদের বেশি, এটা মাথায় রাখবেন।' এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে তৃণমূল নেত্রীকে নোটিস পাঠিয়েছিল নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। তার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে তৃণমূল নেত্রী জানিয়েছেন,'ধর্মীয় লাইনে ভোটারদের প্রভাবিত করতে চাইনি। সম্প্রীতির কথাই বলেছি আমি। আমি হিন্দু ভাই-বোনেদের বলেছি, হিন্দু-মুসলিম বিভাজন করবেন না। ধর্মীয় উস্কানি দিতে চাইনি।' মমতার জবাবে সন্তুষ্ট হতে পারেনি নির্বাচন কমিশন। তাদের বক্তব্য, ভাষণের মূল অংশটি উল্লেখ করেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।    


এর পাশাপাশি কেন্দ্রীয় বাহিনীকে নিয়ে মমতার দুটি ভাষণেও প্ররোচনা রয়েছে বলে নোটিস পাঠায় নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। একটি ভাষণে মমতা বলেছেন, সিআরপিএফ গন্ডগোল করলে একদল মহিলা ঘেরাও করবেন। আর একদল ভোট দিতে যাবে। আর একটি ভাষণে তিনি বলেছেন, 'মা-বোনেদের কাউকে একটাও আঘাত করা হলে হাতা, খুন্তি, ছুরি নিয়ে আক্রমণ করুন। এটা মহিলাদের অধিকার। ভোট দিতে না দিলে বিদ্রোহ করুন।' মমতার ব্যাখ্যা দিয়েছেন,'ঘেরাও মানে ঘিরে ধরা বলতে চাইনি। বরং গণতান্ত্রিকভাবে প্রতিবাদের উদ্দেশ্যেই ব্যবহার করেছি। স্বচ্ছ ভোটপ্রক্রিয়ায় বাধা দিলে কাউকে রেয়াত করে হবে না। এমনকি সিআরপিএফ-কেও নয়।' এক্ষেত্রেও কমিশনের অভিমত, মূল বিষয় এড়িয়ে গিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী।               


নির্বাচন কমিশন (Election Commission) জানিয়েছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যিনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীও, জনপ্রতিনিধিত্ব আইন ও নির্বাচনী বিধি লঙ্ঘন করেছেন। তাঁর বক্তব্য প্ররোচনামূলক ও আইনশৃঙ্খলায় কুপ্রভাব ফেলতে পারে। এই ধরনের বক্তব্যের নিন্দা করে কমিশন। এই ধরনের মন্তব্য থেকে বিরত থাকতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সতর্ক করা হচ্ছে। ১২ এপ্রিল রাত ৮ থেকে ১৩ এপ্রিল রাত ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টা মমতার প্রচারে নিষেধাজ্ঞার আরোপ করল কমিশন।     


তবে মমতাই প্রথম নন, এর আগে নিষিদ্ধ হয়েছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। ২০১৯ সালে তাঁকে ৭২ ঘণ্টার জন্য প্রচার থেকে বিরত করেছিল নির্বাচন কমিশন।                


আরও পড়ুন- West Bengal Election 2021: ধর্মের ভিত্তিতে ভোটপ্রচার, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে Mamata-র ব্যাখ্যা চাইল কমিশন