নিজস্ব প্রতিবেদন: আত্মরক্ষা ও সরকারি সম্পত্তি বাঁচাতে গুলিতে চালিয়েছে সিআইএসএফ (CISF)। বিবৃতি দিয়ে জানিয়ে দিল নির্বাচন কমিশন (Election Commission)।বিশেষ পুলিস পর্যবেক্ষক বিবেক দুবে রিপোর্টে জানিয়েছেন, বাহিনীর হাত থেকে অস্ত্র কাড়তে এসেছিল। সে কারণে গুলি চালাতে বাধ্য হন জওয়ানরা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

৯টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত শীতলকুচির ১২৬ নম্বর বুথে সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণ চলছিল। ঘটনার সূত্রপাত, মানিক মহম্মদ নামে এক যুবক অসুস্থ হয়ে পড়েন। স্থানীয় ২-৩ জন মহিলা তাঁর যত্নআত্তি করছিলেন। নির্বাচন কমিশন (Election Commission) জানিয়েছে,'অসুস্থ যুবককে হাসপাতালে নিয়ে যেতে চান সিআইএসএফ জওয়ানরা। কয়েকজন ভেবে নেয়, ওই ছেলেটিকে মারধর করা হয়েছে। বুথের সামনে জড়ো হন ওই জায়গায় ৩০০-৩৫০ গ্রামবাসী। গৃহস্থালির জিনিসপত্র নিয়ে এসেছিলেন মহিলারা। সে সবে আঘাত লাগার আশঙ্কা ছিল। এরপরই সিআইএসএফের উপরে চড়াও হয় উন্মত্ত জনতা। জওয়ানদের কাছ থেকে আগ্নেয়াস্ত্র কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়। আহত হন সিআইএসএফ জওয়ান ও হোমগার্ড। শূন্যে গুলি চালিয়ে জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে চায় সিআইএসএফ। তবে উন্মতা জনতাকে সরানো যায়নি। তখন প্রাণ ও সরকারি সম্পত্তি বাঁচাতে গুলি চালাতে বাধ্য হন সিআইএসএফ জওয়ানরা।'


কোচবিহারের (Cooch Behar) পুলিস সুপার দেবাশিস ধর বলেন,'সাড়ে ৯টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া ঠিকঠাক চলছিল। ভোটের লাইনে ব্যক্তি সংজ্ঞা হারান। সিআইএসএফ মারধর করেছে বলে গুজব রটে যায়। অস্ত্র নিয়ে প্রায় সাড়ে তিনশো লোক চলে আসে। জওয়ানদের রাইফেল ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা হয়। রাইফেল ছিনিয়ে বুথের ভিতরে ঢোকার চেষ্টা করেছিল। তখন সিআইএসএফ গুলি চালায়।' 


আরও পড়ুন- West Bengal Election 2021: রাজ্যে অঘোষিত ৩৫৬, শীতলকুচির গুলিকাণ্ডে সিআইডি তদন্তের কথা জানালেন Mamata