মৌমিতা চক্রবর্তী


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

২০০৬ সালে প্রবল শক্তি নিয়ে ফিরেছিল 'ব্র্যান্ড বুদ্ধ'। তার ৫ বছর পরেই ক্ষমতাচ্যুত বাম সরকার। দীর্ঘ ৩৪ বছরের সাম্রাজ্য পতনের নেপথ্যে ছিল নন্দীগ্রাম ও সিঙ্গুরে কৃষি জমিরক্ষার আন্দোলন। তাই শিল্পায়ন করতে গিয়ে শাসন হারানোর অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিলেন বাম নেতারা (Left Leaders)। আর তা স্পষ্ট হয়েছে একুশের ভোটের (West Bengal Election 2021) আগে বামেদের চূড়ান্ত ইশতাহারে। সেখানে বলা হয়েছে, 'রাজ্যে সহমতের ভিত্তিতে হবে শিল্পায়ন।'


শনিবার চূড়ান্ত ইশতাহার প্রকাশ করল বামফ্রন্ট (Left Front)। সমাসন্ন ভোটে চাকরি ও শিল্পায়নের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোটে লড়ছে সংযুক্ত মোর্চা। ব্রিগেডে সমাবেশ সিপিএমের (CPM) রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র বলেছিলেন,'সহমতের ভিত্তিতে বড় শিল্প হবে রাজ্যে।' সেটাই দেখা গেল বাম ইশতাহারে। তাতে লেখা,'শিল্পের জন্য জমি অধিগ্রহণের বিষয়টি সম্পর্কে সতর্ক পদক্ষেপ নেওয়া হবে। নির্দিষ্ট এলাকায় সহমত তৈরি করে, পরিবেশগত প্রভাবের কথা বিচার করে জমি অধিগ্রহণ করা হবে। অধিগৃহীত জমির জন্য পরিবারগুলিকে লাভজনক মূল্য গিতে হবে। সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের অন্তত একজনকে প্রশিক্ষণ ও কর্মসংস্থানের বন্দোবস্ত করতে উদ্যোগ নেওয়া হবে।' নেপথ্যের সার এটাই, সিঙ্গুর থেকে শিক্ষা নিয়েছে বামেরা। জমি অধিগ্রহণের জন্য সহমতকে অগ্রাধিকার দেবে বামেরা।


অনেকের অভিমত, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) তো এটাই বলছেন। সহমত ছাড়া কারও জমি অধিগ্রহণ করবেন না। তাতে বিস্তর সমস্যাও হয়েছে। জাতীয় সড়কের সম্প্রসারণ আটকে যাওয়ার মতো ঘটনা ঘটেছে। বাধাপ্রাপ্ত হয়েছে মেট্রোর কাজ। ফলে, সহমত নিয়ে জমি অধিগ্রহণ করে শিল্পায়ন কতটা সম্ভব, তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক। 


এ দিন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু (Biman Basu) বলেন,'এটা বামেদের ইশতাহার। এর আগে খসড়া প্রকাশ করা হয়েছিল। শনিবার চূড়ান্ত ইস্তাহার প্রকাশিত হল। সংযুক্ত মোর্চার একটি আবেদনপত্র প্রকাশ করবে। তা কয়েকদিনের মধ্যেই চলে আসবে।'


আরও পড়ুন- West Bengal Election 2021: বাড়ি বয়ে Sisir-কে 'শাহি সভা'য় নেমন্তন্ন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী Mansukh-র